ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শরীয়তপুরে চিকিৎসা অবহেলায় আহত রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
শরীয়তপুরে চিকিৎসা অবহেলায় আহত রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

চিকিৎসকের অবহেলায় শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মনির হোসেন ফরাজি (৩০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শরীয়তপুর: চিকিৎসকের অবহেলায় শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মনির হোসেন ফরাজি (৩০) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার সময় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

মনির হোসেন সদর উপজেলার চিতলীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণকান্দি গ্রামের মৃত এলেম হোসেন ফরাজীর ছেলে।

নিহত মনিরের ভাই নুর হোসেন ফরাজি বলেন, ঢালাই কাজের সরদার লিটন বেপারীর সঙ্গে আমার ভাই মনির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ঢালাইয়ের কাজ করতেন। লিটন বেপারী শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কাজের জন্য মনিরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। তারা কয়েকজন শ্রমিক নসিমনে করে ডোমসার বাজারের উদ্দেশে রওনা হন। সকাল সাড়ে ৭টার সময় নসিমনটি ডোমসার বাজারের কাছে ব্রিজে ওঠার সময় মনির হোসেন নসিমন থেকে পড়ে গিয়ে পেছনে থাকা ঢালাইর মিক্সার মেশিনের চাকার নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে শরয়িতপুর সদর হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ সাহা সাড়ে ৮টার সময় রোগীকে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে ছুটে আসি।  

হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা. আকরাম এলাহীর সঙ্গে ২০ হাজার টাকায় চুক্তি হয় তিনি হাসপাতাল সংলগ্ন হাজী শরীয়তউল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে ডায়াবেটিক সেন্টারে রোগীর অপারেশন করবেন। চুক্তি অনুযায়ী ডা. আকরাম এলাহীকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। কথা ছিল ডা. আকরাম এলাহী দুপুর ১টার সময় হাজী শরীয়তউল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে ডায়াবেটিক সেন্টারে আমার ভাইয়ের অপারেশন করবেন। ডাক্তারের কথামতো আমরা আমার ভাই মনিরকে হাজী শরীয়তউল্লাহ জেনারেল হাসপাতালে ডায়াবেটিক সেন্টারে নিয়ে যাই। দুপুর ১টায় আমার ভাইয়ের অপারেশন করানোর কথা কিন্তু ডা. আকরাম এলাহী অপারেশন করার জন্য বিকেল ৪টার সময় আসেন। তখন রোগীর কন্ডিশন খারাপ দেখে তিনি আমার ভাইকে অপারেশন না করে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। তখন নিরুপায় হয়ে আমার মনিরকে আবার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। এর কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে মনির মারা যায়। চিকিৎসকের অবহেলার কারণেই আমার ভাই মারা গেছে।

এ ব্যাপারে ডা. আকরাম এলাহীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মোবাইল ফোনে বার বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মনির হোসেন নামে একজন শ্রমিক মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। তবে এ ঘটনায় আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।