ঢাকা, রবিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে নিখোঁজ ৭ ব্যক্তির সন্ধানে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
বরিশালে নিখোঁজ ৭ ব্যক্তির সন্ধানে সংবাদ সম্মেলন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বরিশালের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ সাত ব্যক্তির সন্ধানে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের স্বজনরা।

বরিশাল: বরিশালের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ সাত ব্যক্তির সন্ধানে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের স্বজনরা।

রোববার (১৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ প্রেসক্লাবে তাদের সন্ধান চেয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- ২০১৩ সালে নলছিটি থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলার আসামি ও উপজেলার নাচল মহল গ্রামের মাছুম বিল্লার ছেলে বাকি বিল্লাহ্, মান্নান খানের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম, নুরুল ইসলামের ছেলে মো. সোহাগ, মো. ইউসুব আলীর ছেলে মো. যোবায়ের, আব্দুল রউফ মৃধার ছেলে মো. আবুল বাসার, মোকছেদ আলী ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও হায়দার আলীর ছেলে মিনহাজুল।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজদের পরিবারের পক্ষে বাকি বিল্লাহর বড় বোন হাফছা বেগম।

লিখিত বক্তব্যে হাফছা বেগম বলেন, ২০১৩ সালে দায়ের হওয়া মামলায় নয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই মামলায় আদালত একজনকে অব্যাহতি দেন। বাকী আট আসামিকে ঝালকাঠির একটি আদালত চার বছরের কারাদণ্ড দেন। দীর্ঘ কারাবাসের পর চলতি বছরের সাত অক্টোবর উচ্চ আদালত তাদের জামিনে মুক্ত করার আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় আটজনকে কারাকর্তৃপক্ষ মুক্ত করে দেন। এর মধ্যে আট নম্বর আসামি মসিউরকে জেলগেট থেকে ফের গ্রেফতার করা হয়। বাকী সাতজন কারাগারের প্রধান ফটক পার হতেই একটি কালো ও একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস এসে তাদের জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছেন।

এ ঘটনার পর বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা, বরিশালের ডিবি অফিস, মেট্রোপলিটন ডিবি কার্যালয়, ঝালকাঠি ডিবি, ঝালকাঠী কারাগার ও নলছিটি থানায় খোঁজ করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে বরিশাল কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ আমলে নেয়নি।

তাই নিখোঁজ সাতজনের খোঁজ পেতে তাদের স্বজনরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (সিনিয়র জেলা সুপার) মো. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আটজনের মধ্যে সাতজনকে আমরা মুক্ত করে দিয়েছি। একজনের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা থাকায় তাকে মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। কারাগারের বাইরে কি ঘটেছে তা আমাদের জানার কথা না। আর গ্রেফতারের বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিষয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত‍া (ওসি) আজাদ রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কেউ সাধারণ ডায়েরি করতে এলে অবশ্যই তা নেওয়া হয় এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হয়। এক্ষেত্রে ওই সাত আসামির ব্যাপারে জিডি করার বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
এমএস/এনটি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ