মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা।
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির বলেন, এর আগে রাজধানীর হকারদের শুক্র ও শনিবার ফুটপাতে বসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, মূলত ক্যাসিনোকাণ্ডের পর থেকেই এ সমস্যা তৈরি করেছে পুলিশ-প্রশাসন। আমরা ডিএমপি কমিশনারকে বিনীত নিবেদন করে বলতে চাই, আপনি আগের মতো আবার হকারদের ফুটপাতে বসার সুযোগ করে দেন। এখন চার লাখ হকার অনাহারে-অর্ধাহারে আছে, পরিবার নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছে। প্রয়োজনে তাদের আইডি কার্ড করে দেন যার মাধ্যমে তারা সরকার অথবা সিটি করপোরেশনকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পরিশোধ করবে। এর মাধ্যমে সরকারের আয় বাড়বে, হকারদেরও কর্মসংস্থান হবে।
সংগঠনটির উপদেষ্টা জলি তালুকদার বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে মেয়র বলেছিলেন, হকারদের পুনর্বাসন করা হবে, এর আগে উচ্ছেদ নয়। মেয়র নির্বাচনের পরেই সাঈদ খোকন কোনো পুনর্বাসন ছাড়াই হকার উচ্ছেদ করছেন। আপনারা জনগণের কথা ভাবুন, না হলে এই জনগণই আপনাদের ক্ষমতার মসনদ থেকে নামিয়ে আনবে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ বলেন, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে পুলিশ নেমেছে হকার উচ্ছেদে। অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়ে যায়, পুলিশ কিছুই করতে পারে না। টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারা ক্ষমতা দেখান হকারের ওপর। অথচ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল উল্টো। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, পুনর্বাসন ছাড়া কোনো হকার উচ্ছেদ নয়। কিন্তু পুলিশ উল্টোটা করছে।
সমাবেশ শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিতে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার যায় হকারদের একটি প্রতিনিধি দল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
ইএআর/একে