ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফ্রিল্যান্সিং খাত অন্তর্ভুক্ত করে নতুন রপ্তানি নীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
ফ্রিল্যান্সিং খাত অন্তর্ভুক্ত করে নতুন রপ্তানি নীতি

ঢাকা: ফ্রিল্যান্সিং খাত অন্তর্ভুক্ত করে রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

বৈঠকে শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।  

তিনি বলেন, আমাদের রপ্তানি খাতে চাহিদা ও বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি প্রণয়নের জন্য তিন বছর পর পর রপ্তানি নীতি পরিবর্তন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এটা আনা হয়েছে।  

ডব্লিউটিও-এর বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য সেবা বহুমুখীকরণে অগ্রধিকারমূলক পণ্যসেবা খাত চিহ্নিতকরণ, রপ্তানি শিল্পের পশ্চাৎ ও অগ্র সংযোজন শিল্প স্থাপনে সহায়তা করা, শ্রমনির্ভর রপ্তানি খাতে গুরুত্ব দেওয়া, দক্ষতা উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ সহজীকরণে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের প্রতি রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এ বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।  

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পার্টিকুলারলি গ্র্যাজুয়েশনের বিষয়টি এখানে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। ফোরথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনকে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। তারপর ২০২৬ এবং আরও তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ইইউতে আমরা যে গ্রেস পাবো তা বিবেচনায় রাখা হয়েছে।  

নীতিতে ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অ্যাম্বাসেডররা যারা আছেন তারা ডিপ্লোমেটিক কাজের পাশাপাশি ইকোনোমিক প্রমোশন, ক্যাম্পেইন এক্সপোর্ট ইমপোর্টে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।  

প্রত্যেকটি টপিক আলাদা আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কীভাবে আরো বেশি বিদেশি ফান্ড আনা যায়, কীভাবে এক্সপোর্টকে বাড়ানো যায় এটাকে রাখা হয়েছে। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতে কিছু সম্ভাবনাময় নতুন খাত যেমন- কৃত্রিম ফাইবার, হালাল পণ্য ও ফ্যাশন, মেডিক্যাল ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী যেমন পিপিই, ফ্রিল্যান্সিং খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সমস্ত খাত যেন সুবিধা পায় সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের রপ্তানিতে সম্পৃক্ত করতে সুনির্দিষ্ট নীতি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহজীকরণে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। আমরা যেন সব প্রাইমারি গুডস যাতে দেশের বাইরে পাঠিয়ে না দেই। যেমন একটি উদাহরণ হচ্ছে তুরস্ক, আমাদের কাছ থেকে র জুট নিয়ে যায়। তারা আবার ফাইনাল প্রোডাক্ট বানিয়ে ইউরোপের বাজারে দেয়। আমরা অবশ্যই র জুট এক্সপোর্ট করবো কিন্তু পাশাপাশি ফাইনাল প্রোডাক্ট যদি করতে পারি তাহলে ভ্যালু অ্যাড কিন্তু বেশি হচ্ছে। এগুলোকে প্রটেকশন দেওয়ার জন্য কিছু বিধি-বিধান এখানে আনা হয়েছে।  

রপ্তানি পণ্য নিষিদ্ধ তালিকাও হালনাগাদ করা হয়েছে। আরেকটি বিষয় তিন থেকে চার মাস পর কমার্স সেক্রেটারির তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের অবজারভেশন নিয়ে রপ্তানি নীতি মনিটর করা হবে এবং প্রয়োজন হলে মডিফাই করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।