ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘যুদ্ধের প্রভাব রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে পড়বে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২২
‘যুদ্ধের প্রভাব রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে পড়বে না’

ঢাকা: রাশিয়ার সহায়তায় চলমান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বুধবার (০২ মার্চ) এনইসি চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা (ভার্চ্যুয়াল) অনুষ্ঠিত হয়।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গরম পড়লে কিছু তাতানো হিট লাগবে। হিটে আমার চামড়া পোড়ে কিনা, সেটা দেখার বিষয়; গায়ের লোম পোড়ে কিনা—আমি এখনো মনে করি, সেই পর্যায়ে আমরা পৌঁছি নাই। রূপপুরে যে প্ল্যান্টটা আমরা করছি, সেটা সম্পূর্ণভাবে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি। দ্বিপাক্ষিক ওই সেন্সে—যন্ত্রপাতি, জ্ঞান, টাকা সবই রাশিয়ার। এর সঙ্গে তৃতীয় কোনো পক্ষ জড়িত নয়। আসা-যাওয়া, মালামাল, চলাচল, এতদিন যখন কোভিডের সময় হয়েছে, কোভিডের সময়টা যুদ্ধের চেয়ে কম ছিল না, সবকিছু বন্ধ ছিল পৃথিবীর, রাশিয়ানরা প্লেন উড়িয়ে যন্ত্রপাতি, লোক-লস্কর নিয়ে এসেছে, সুতরাং এখনো না আসতে পারার কোনো কারণ নেই।

মন্ত্রী বলেন, আমার জানা মতে, বিজ্ঞান প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় খোঁজ-খবর রাখে। ওই ধরনের কোনো হাওয়া এখনো লাগে নাই। সুতরাং যন্ত্রপাতি, লোক, অর্থ—তিনটাই সিঙ্গেল চ্যানেল, তৃতীয় কোনো পক্ষ নেই। সুতরাং সরাসরি কোনো প্রভাব পড়বে না। যদি যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হয়, তখন কোনো পার্শ্বপ্রভাব পড়বে কিনা সেটা পণ্ডিত ব্যক্তিরা গবেষণা করে দেখবেন। আমরা সচেতন নাগরিকরা খোঁজখবর রাখবো, দেখবো।

বাংলাদেশের অবস্থান যুদ্ধের বিরুদ্ধে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ বা রাশিয়ার যুদ্ধ, আমরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে। সার্বিকভাবে প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, আমরা শান্তিকামী দেশ, শান্তি চাই। যাই হোক তারা যুদ্ধ করছে। উভয় রাষ্ট্রই আমাদের বন্ধু। ইউক্রেনও আমাদের বন্ধু, আর রাশিয়া তো গভীর, দীর্ঘদিনের বন্ধু।

রাশিয়ার সহায়তায় বাংলাদেশের পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মিত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে জন্য ২০১৫ সালে রাশিয়ার সঙ্গে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের (১ লাখ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা) ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার।

এক হাজার ৬২ একর জমির ওপর দুই ইউনিটের এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাজ করছেন প্রায় ২৫ হাজার দেশি-বিদেশি শ্রমিক, প্রকৌশলী, বিশেষজ্ঞ।

২০২৩ সালের এপ্রিলে রূপপুরের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২২
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।