ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৭০ নয়, মাধ্যমিক পাস করছে ২৫ শতাংশ মেয়ে!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
৭০ নয়, মাধ্যমিক পাস করছে ২৫ শতাংশ মেয়ে! ছবি: ডিএইচ বাদল 

ঢাকা: সরকারি হিসাবে ৭০ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পাস করে বললেও ২৫ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পাস করছে বলে দাবি করেছেন মালালা ফান্ডের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মোশাররফ তানসেন।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে মালালা ফান্ড, গণসাক্ষরতা অভিযান ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

 

মোশাররফ তানসেন বলেন, ক্রমান্বয়ে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে মাধ্যমিকে, তার চেয়ে কমছে উচ্চ মাধ্যমিক। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করা মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম কর্তৃক অনুষ্ঠিত আগ্রগতির হার অনুযায়ী, মেয়ে ও ছেলে শিশুদের ১২ বছরের গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষা দানের ক্ষেত্রে আমরা এখনও প্রায় ১০০ বছর পিছিয়ে আছি। টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিউইয়র্ক শহরে ১৯ সেপ্টেম্বর রূপান্তরমূলক শিক্ষা সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সরকার, বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা অধিকার কর্মীদেরকে একত্রিত করছে।  

মেয়েদের মতামতকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে, মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে ঐক্যমত হতে হবে এবং মেয়েদের উদ্দেশ্যে করা পূর্ব প্রতিশ্রুতিসমূহ পালনে বিশ্ব নেতাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

আরো বলা হয়, শিক্ষার বৈশ্বিক সংকট ক্রমান্বয়ে আরও খারাপ হচ্ছে। মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব, যুদ্ধ-সংঘাত শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে মেয়েদের জন্য এই পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলছে।  

আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন মেয়ে শিশুদের শিক্ষার ব্যাপারে আয়োজকরা চারটি দাবি জানিয়েছেন-

১. মেয়েদের মতামতের মূল্যায়ন করা। রূপান্তরমূলক শিক্ষা সম্মেলনের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে এর ফলোআপসহ সকল পর্যায়ে এবং জবাবদিহিতামূলক কার্যক্রমে অর্থপূর্ণভাবে মেয়েদের সম্পৃক্ত করা।

২. ন্যায্যতাভিত্তিক শিক্ষাবিষয়ক বৈশ্বিক কর্মপন্থা তৈরি করা। স্বল্প আয়ের এবং উচ্চ আয়ের দেশগুলোর অঙ্গীকারকে সমন্বিত করা যা তাদের সামর্থ্যকে প্রতিফলিত করবে শিক্ষাক্ষেত্রে অর্থায়ন এবং নীতিগত কাঠামো নিশ্চিত করবে।

৩. নেতাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।  

৪. আফগানিস্তানের জন্যে শিক্ষা সম্মেলনের একটি এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত। আফগানিস্তান, পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।  

একইসঙ্গে, সম্মেলনের ঘোষণার মাধ্যমে আন্তজাতিক সম্প্রদায়ের কাছে মানবিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানান আয়োজকেরা।

সংবাদ সম্মেলনের আরও বক্তব্য দেন গণসাক্ষরতা অভিযানের ভাইস চেয়ার ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটস প্রসেফর ড. মুনজুর আহমেদ, পপির নির্বাহী পরিচালক মোর্শেদ আলম সরকার, গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক কে এম এনামুল হক ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের নির্বাহী প্রধান কানিজ ফাতেমা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
এনবি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।