ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২২
এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা

ঢাকা: মাসব্যাপী চলমান মশক নিধন অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৯টি মামলায় মোট ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এ সময় ৭টি নিয়মিত মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৬ নভেম্বর) এই অভিযান চালিয়ে মামলা ও জরিমানা করা হয়। ডিএনসিসির সব অঞ্চলেই একযোগে এই অভিযান পরিচালনা করেছেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।   নভেম্বর মাস জুড়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন জানান, ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৮টি মামলায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন ও সতর্ক করা হয়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এছাড়া অঞ্চল-১ এর আওতাধীন উত্তরা ৩নং সেক্টর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় বাসা বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবন, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিত এডিশ বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩টি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।

তিনি জানান, অঞ্চল-৯ ও ১০ এর আওতাধীন ভাটারা ও আফতাবনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪ মামলায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় নির্মাণাধীন একটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মকবুল আরও জানান, ডিএনসিসির অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন পাইকপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে প্রায় ১১০টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়। এ সময় ফুটপাত ও রাস্তায় মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ৪টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
 
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর মডেল থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযান চলাকালে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রি.জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে. কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।


বাংলাদেশ সময়: ২৩১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২২
এমএমআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।