বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমান উৎসর্গ করে কবিতা পাঠ করলেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. জুবাইদা রহমান।
শনিবার(১৯ জানুয়ারি) ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কবিতা পাঠ করেন তিনি।
কবিতা পাঠের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি নিজের জীবনে শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণ করে বলেন, আজ শ্রদ্ধেয় পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মনে পড়ে নতুন কুঁড়ির কথা। অংশগ্রহণের দিনগুলোতে মাতা বেগম খালেদা জিয়া এবং পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে পেয়েছি কয়েকটি অনুষ্ঠানে। তাদের উৎস ও অনুপ্রেরণা আমার মতো আরো অনেক শিশু- কিশোরের পথ চলার পাথেয়। আজ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবাার্ষিকী উপলক্ষে তার উদ্দেশে একটি কবিতা উৎসর্গ করতে চাই
তুমি নির্ভীক, তুমি গণতন্ত্রের প্রতীক
জনতার অধিকারের অতন্দ্রপ্রহরী তুমি
অসাধারণ সাহসী মূর্তি
তুমি নেতা, তুমি কঠোর পরিশ্রমী
দিন কেটেছে তোমার সবার চিন্তায়, বিরামহীন
তুমি সূর্য রশ্মি চাঁদের আলোর মতো,
তাই আজ বহু দূরে থেকেও আমরা তোমার আলোয় আলোকিত,
তুমি বিদ্রোহী,
তুমি আশার আলোয় আরোহী
তুমি বিজয়ী
তুমি মৃত্যুঞ্জয়ী,
তুমিই স্বাধীনতা।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার দুই পর্বের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।
প্রথম পর্বে ঢাকার শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে (ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বিপরীতে) দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং শিশু-কিশোরদের নিয়ে জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে গল্প বলা অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানের মঞ্চে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন স্মৃতিচারণমূলক বিষয়ে শিশু- কিশোরদের গান শোনান বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা ও বেবি নাজনীন। পাশাপাশি ছোট্ট শিশুরাও জিয়াউর রহমানের বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। তাদের অন্যতম আগা খান একাডেমির ছাত্র শাহরিন মো. ছোয়াদসহ কয়েকজন। পাশাপাশি মিলনায়তনের বাইরে জিয়াউর রহমানের জীবনঘনিষ্ঠ অসংখ্য ছবি পরিদর্শন করেন শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বাংলদেশ সময়: ২৩০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮,২০২৫
টিএ/এমএম