রাঙামাটি শহরে মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থার (মাসাস) আয়োজনে জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে মারী স্টেডিয়ামে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
জলকেলিতে অংশ নেওয়া মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটানোর মাধ্যমে উল্লাসে মেতে উঠেন এবং পুরোনো বছরের সব জীর্ণতা-গ্লানি ধুয়ে, মুছে নতুন বছরকে বরণ করে নেন।
এ জলকেলির মধ্যে দিয়ে নতুন বছর বরণের পাশাপাশি অনেক মারমা তরুণ-তরুণী মন দেওয়া-নেওয়ার কাজটা শেষ করে নিয়েছেন। জলকেলি উৎসবের পাশাপাশি এদিন পাহাড়ের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর পাহাড়ি শিল্পীরা বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমা সম্প্রদায় ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব, পার্বত্য জনপদের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর নিজ নিজ ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, নতুন বাংলাদেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। ক্ষুদ্র গোষ্ঠী, পাহাড়ি-বাঙালি এরকম কোনো বৈষম্য থাকবে না। আমাদের একটি পরিচয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি। সবাই মিলে-মিশে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে চলব।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনমানুষের উন্নয়নে কোয়ালিটি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এরপর দ্বিতীয় হলো অর্থনৈতিক নিরাপত্তা। এরপর ব্যক্তি পর্যায়ে উন্নয়ন। এই তিন পর্যায়ে আমরা সফল হলে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। প্রধান উপদেষ্টা এ তিনটি ধারা বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অনুপ কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতরাসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাংগ্রাই উদযাপন কমিটির সভাপতি মংথোয়াই খই মারমা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
এসআরএস