পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছে দেশটির সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এমনটিই বলছেন।
রাষ্ট্রের ভিত্তিতে আক্রমণের জন্য ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পার্টিকে (পিটিআই) অভিযুক্ত করেছেন এবং বলেছেন, এটা সহ্য করা যাবে না।
চলতি মাসের শুরুর দিকে গ্রেপ্তার হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান। এতে দেশটিতে চলে তীব্র বিক্ষোভ। সরকারি ভবন ও সামরিক কম্পাউন্ডে চলে ভাঙচুর। পরে পিটিআইয়ের হাজার হাজার সমর্থক ও দলের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে আটক করা হয়।
দল নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে ইমরানের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনোও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তিনি সেই সহিংসতার বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষা স্থাপনায় হামলার উদ্দেশ্য ভারতের হতে পারে, তবে পাকিস্তানের নয়। পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে আমরা অবশ্যই পিটিআয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনা করছি।
খাজা আসিফ বলেন, গেল ৯ মের ঘটনা হঠাৎ করে ঘটেনি, বরং পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার, সদর দপ্তর, গুজরানওয়ালা সেনানিবাস এবং মিয়ানওয়ালিতে বিমান ঘাঁটিসহ অন্যান্য স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। ইমরান খান সেনাবাহিনীকে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখেন। তার পুরো রাজনীতিই (একসময়ে) বসে থাকতো সেনাবাহিনীর কোলে এবং আজ হঠাৎ করেই তিনি এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পিটিআইয়ের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আলী জাফর বলছেন, পিটিআইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও, সুপ্রিম কোর্ট এ ধরনের পদক্ষেপকে এক দিনের মধ্যে বাতিল এবং অকার্যকর ঘোষণা করতে পারে, কারণ পাকিস্তানে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা যায় না।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
আরএইচ