শনিবার (১৭ আগস্ট) সরকারের এক মুখপাত্রের বরাতে এ কথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
আরও পড়ুন> কাশ্মীর সীমান্তে ফের গুলি, ভারতীয় সেনা নিহত
জানা যায়, কাশ্মীরের ৯৬টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মধ্যে মোট ১৭টি ফের কাজ করতে শুরু করছে।
মুসলমান অধ্যুষিত কাশ্মীরের সড়কগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছেই, রয়েছে ব্যারিকেডগুলোও। পরিচয়পত্র পরীক্ষার পরই স্থানীয়দের চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন> পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিমন্ত্রণ বাতিল করছে কাশ্মীরিরা!
সরকারের মুখপাত্র রোহিত কানসাল জানান, কাশ্মীরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো আগামী সোমবার (১৯ আগস্ট) থেকে আবারও চালু হচ্ছে। ওইদিন থেকে সরকারি অফিসগুলোও পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করবে।
উপত্যকায় কিছু কিছু দোকানপাট খুললেও বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফুয়েল স্টেশন বন্ধ রয়েছে।
হিন্দু অধ্যুষিত জম্মু অঞ্চলের টেলিফোন-মোবাইল সেবা পুরোদমে চালু করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার পাঁচটি জেলায় ২জি মোবাইল ইন্টারনেট সেবাও পাওয়া যাচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে উঠিয়ে নেওয়া হলেও আটক কাশ্মীরি নেতারা কবে নাগাদ মুক্তি পাবেন, তার কোনো ঠিক নেই। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রোহিত কানসাল জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাদের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন> কাশ্মীর-ভুলের জন্য মোদীকে বড় মূল্য দিতে হবে: ইমরান
জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভের আশঙ্কায় গত ৫ আগস্ট থেকেই অবরুদ্ধ গোটা উপত্যকা এলাকা। সেদিন থেকেই জারি করা হয় কারফিউ, বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেলিফোন-মোবাইল, ইন্টারনেট সেবা। মর্যাদা বাতিলের ঘোষণার আগের দিন গৃহবন্দি করা হয় সেখানকার সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে। পরের দিন এ দু’জনসহ আটক করা হয় মূলধারার বহু রাজনৈতিক নেতাকে।
আরও পড়ুন> বিদেশ যেতে না দিয়ে কাশ্মীরি নেতা শাহ ফয়সালকে গৃহবন্দি
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
একে