ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সৌদিতে সেনা-সাহায্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
সৌদিতে সেনা-সাহায্য পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের দু’টি প্রধান তেল স্থাপনায় হামলার জেরে দেশটিতে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপারের দাবি, প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার জন্যই এসব সেনা পাঠানো হচ্ছে। তবে কতজন সেনা পাঠানো হবে এ বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড জুনিয়রকে পাশে রেখে এ ঘোষণা দেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।

যদিও, এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ইরানের ওপর সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও আপাতত সামরিক সংঘর্ষ চান না তিনি।

 

মার্ক এসপার সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সাহায্য চেয়েছে। নতুন সেনারা সেখানকার আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষায় নজর দেবেন। এছাড়া, দুই দেশেই সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের গতি বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র।

জেনারেল ডানফোর্ড বলেন, হাজার হাজার নয়, সেনা মোতায়েন হবে পরিমিত আকারে। তবে, কোন ধরনের সেনা মোতায়েন হচ্ছে, এ বিষয়ে বেশি কিছু বলেননি তিনি।  

আরও পড়ুন> সৌদির তেল-স্থাপনায় হামলা হয়েছে ইরান থেকে: যুক্তরাষ্ট্র

গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইরানের দক্ষিণাঞ্চল ও পারস্য উপসাগরের উত্তরাঞ্চল থেকে সৌদি আরবের তেল-স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারা। আর এ কাজে ড্রোন ও স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে বলে দাবি তাদের।

তবে, সৌদির আবাইক তেল শোধনাগার ও খুরাইস তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলার কথা ইতোমধ্যে স্বীকার করেছে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তারা সৌদির জনবহুল এলাকাগুলোতে এর আগেও বেশ কয়েকবার রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।  

ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ্রাব্বুহ মানসুর হাদিকে সমর্থন দেওয়া সৌদি আরবের সঙ্গে হুথিদের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। তবে, সেটি বৃদ্ধি পায় ২০১৫ সালের মাঝামাঝি। ওই বছরের মার্চে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ নেয় ও প্রেসিডেন্ট হাদিকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে। এর পরপরই সৌদি ও তার মিত্ররা ইয়েমেনে বিমানহামলা চালায়।  

জাতিসংঘের হিসাবমতে, সেই থেকে এ পর্যন্ত ইয়েমেনের অন্তত ৭ হাজার ২৯০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। বর্তমানে দেশটির ৮০ ভাগ জনগণেরই নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। সেখানকার অন্তত এক কোটি মানুষ জীবনধারণের জন্য সম্পূর্ণভাবে খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।

আরও পড়ুন> সৌদিতে হামলা: ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইরানের!

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।