প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়া তাওকত আঘাত হেনেছে কর্নাটকে। এসময় চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (১৬ মে) এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার পত্রিকা।
রোববার বেলা বাড়তেই গোয়ায় ঝড়-বৃষ্টির প্রভাব বেড়েছে। উপড়ে গেছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। গোয়ার একটা বড় অংশে ঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে বহু রাস্তা। প্রবল শক্তিশালী
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে শনিবার রাত আড়াইটা নাগাদ ঝড়টি ছিল গোয়া থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার, মুম্বাই থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও গুজরাট উপকূল থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দূরে। মঙ্গলবার সকালে তাওকতে গুজরাটের উপকূল, পোরবন্দর ও ভাবনগর জেলার মহুভা এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ের শক্তি অনুমান করার জন্য আগামী ১২ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
শনিবার এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি সেই বৈঠকে নির্দেশ দেন যেন এই ঝড়ের কারণে করোনা চিকিৎসায় কোনো সমস্যা না দেখা যায়। হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বাকি সব পরিষেবা যাতে দেওয়া হয়, সে কথা বলেন তিনি।
রোববার সকাল থেকেই মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্নাটক ও গুজরাট, অর্থাৎ ভারতের পশ্চিম উপকূল জুড়েই ঝড়ের আগাম প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, দিউ-এর উপকূলবর্তী অংশে বিপুল বৃষ্টি চলবে। শুধু তাই নয় কেরালা, তামিলনাড়ু উপকূলেও সমুদ্রের বিশাল ঢেউ জানান দিচ্ছে ঝড়ের ভয়াবহতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২১
এএ