লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে তিন শিশুসহ ২২ অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছে। নিহতেরা আফ্রিকার দেশ মালির বাসিন্দা ছিল।
মঙ্গলবার ( ০৬ জুলাই) মালি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, যারা মারা গেছে তারা ৮৩ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে বের হয়েছিল। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল মালির নাগরিক।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) পক্ষ থেকে বলা হয়, লিবিয়ান কোস্টগার্ড ৬১ জনকে উদ্ধার করেছে। নয়দিন সমুদ্রে থাকার পর শনিবার( ০২ জুলাই) তাদেরকে উপকূলে নিয়ে আসা হয়।
আইওএমের মুখপাত্র সাফা এমসেহলি বলেন, পানিশূন্যতা ও পানিতে ডুবে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এমসেহলি জানান, জীবিতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি খাদ্য সংকটে পড়েছে আফ্রিকা । এমন পরিস্থিতিতে মহাদেশটি থেকে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য ইউরোপে যাওয়ার মূলপথ হয়ে উঠেছে দেশটি।
সূত্র: আল জাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ৬ জুলাই, ২০২২
ইআর