তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে চলা বিক্ষোভের মুখে নিজের সরকারি বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তিনি আগামী বুধবারই ( ১৩ জুলাই) পদত্যাগ করবেন।
এর আগে শ্রীলঙ্কার সংসদের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনেও জানিয়েছিলেন বুধবার পদত্যাগ করবেন গোতাবায়া।
এদিকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে জানিয়েছেন, তিনি সর্বদলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত। এর আগে বিক্ষোভকারীরা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেন।
সোমবার একটি বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে জানিয়েছেন যে তিনি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পদত্যাগ করবেন।
এখনও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনকে দখলে নিয়ে রেখেছেন সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীরা। তারা পর্যটনকেন্দ্রের মতো এটিকে ব্যবহার করছেন। শনিবার (০৯ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আন্দোলনকারীরা সুইমিংপুলে জলকেলি করছেন। এছাড়া তাদেরকে প্রেসিডেন্ট ভবনের রান্নাঘরে হানা দিতে দেখা গেছে। কাওকে আবার দেখা গেছে প্রেসিডেন্টের বিছানায়। কয়েকজনকে দেখা গেছে প্রেসিডেন্টের ট্রেডমিলে দৌড়াতে।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে মারাত্মক আর্থিক সংকট পার করছে শ্রীলঙ্কা। ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় গোটা দেশ। ভোগ্যপণ্যের আকাশচুম্বী দাম, জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ওষুধের তীব্র সংকট এসবের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষেকে দায়ী করে আসছেন আন্দোলনকারীরা।
সূত্র: এনডিটিভি
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২২
ইআর