ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সোহরাওয়ার্দী নয়, আরামবাগে সমাবেশ চায় বিএনপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
সোহরাওয়ার্দী নয়, আরামবাগে সমাবেশ চায় বিএনপি ডিএমপির উপ-কমিশনার মো. ফারুক হোসেন

ঢাকা: আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশের অনুমতি পেলেও নারাজ দলটি। তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে আরামবাগে গণসমাবেশ করতে আগ্রহের কথা জানিয়েছে।

তবে পুলিশের দেওয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতিই এখন পর্যন্ত বহাল আছে। ডিএমপি এখনো নতুন কোনো ভেন্যুর কথা ভাবেনি বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।

ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে আগামী ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ভেন্যু হিসেবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ অনুমতি দেওয়ার পরও তারা আমাদের কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ডিসি মতিঝিল ও বিএনপি নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

তারা ঢাকার কয়েকটি স্পট ভিজিট করেছিলেন। বিএনপি আরামবাগ মাঠকে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ডিসি মতিঝিলের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। সেই প্রস্তাবটি কমিশনারের কাছে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি। তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে এখনো বিকল্প ভেন্যুর কথা চিন্তা করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমরা তাদের সোহরাওয়ার্দীতে গণসমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছি, তাই এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে আছি। এ গণসমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ধরনের প্রোগ্রাম করার দরকার, সমস্ত প্ল্যান ও প্রোগ্রাম আমরা ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছি। ডিএমপির পক্ষ থেকে আমরা রাস্তার ওপর কোনো জনসমাবেশ করার অনুমতি দেব না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা যে অনুমতি দিয়েছি সেটাই এখনো বহাল আছে।

বিএনপি যদি আরও উন্মুক্ত জায়গা খোঁজে, সেটা হতে পারে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মাঠ অথবা পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার যে মাঠ আছে সেখানেও তারা যেতে পারে। সেখানে গেলে ডিএমপির পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি হয়তো থাকবে না।

ডিএমপির এ মুখপাত্র বলেন, আমরা জানতে পারিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ করতে সমস্যাটা কোথায়। তবে তারা সিকিউরিটির কথা আমাদের বলেছে। সিকিউরিটির একটা থ্রেট তারা ফিল করে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বলেছি এ সমাবেশ নির্বিঘ্ন করার জন্য, আইনশৃঙ্খলার অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যত ধরনের পুলিশি সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজন সব ধরনের সহায়তার আমরা আশ্বাস দিয়েছি।

বিশেষ অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশের যে বিশেষ অভিযান চলমান আছে সে বিশেষ অভিযানে যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা আছে, ওয়ারেন্ট আছে, যারা অবৈধ অস্ত্র বহন করে, যারা অবৈধ মাদক ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে। যাদের নামে মামলা আছে তাদের অবশ্যই আমরা গ্রেফতার করব।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
পিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।