ব্রাহ্মণবাড়িয়া: দাম কমার প্রভাবে পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ মোকামে ধানের আমদানি কমেছে। ফলে ধান কেনাবেচা কম হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উৎপাদিত ধান নিয়ে কৃষকরা আসেন পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম ধানের মোকাম আশুগঞ্জের বিওসি ঘাটে। কিশোরগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ ও জামালপুরসহ হাওরাঞ্চলের উৎপাদিত ধান নদী পথে কৃষক ও ব্যাপারীরা নিয়ে আসছেন। তবে আকস্মিকভাবে ধানের দাম কমে যাওয়ায় ভরা মৌসুমেও মোকামেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের নেই তেমনটা আনাগোনা। প্রতিদিন এই মোকামে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মণ ধান কেনাবেচা হতো। ধানের দাম কমে যাওয়ায় আমদানি কমে যাওয়ায় ১২/১৫ হাজার মণে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে মোকামে গিয়ে দেখা যায়, যেখানে প্রতিদিন সারিবদ্ধভাবে অর্ধ শতাধিক ধান বোঝাই নৌকা নদীর তীরে ভিড় লেগে থাকত। সেখানে এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫/৬টি। হঠাৎ করে ধানের দাম কমে যাওয়ায় ব্যাপারী ও আড়ৎদারদের ধান কেনার যে কর্মচাঞ্চল্য ছিল তা অনেকটাই কমে গেছে।
বেশ কয়েকজন ব্যাপারী বাংলানিউজকে জানান, বস্তাপ্রতি ধানের দাম কমেছে ১ থেকে দেড়শ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও বিআর-২৯ ধান ১৪২০ থেকে ১৪৩০ টাকায় বিক্রি হতো এখন তা কমে ১৩৫০/১৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন ধান (চিকন) ৩৯ ও ৪৯, ১২৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা ১০৭০/৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা ধান ৯২০/৯৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তারা আরও জানান, নতুন ধান মোকামে আসায় ধানের দর কিছুটা কমেছে। বর্তমান দামে ধান বিক্রি করে তাদের তেমন লাভ হচ্ছে না। এতে দূর-দূরান্ত থেকে ধানের আমদানি কমে গেছে।
জেলার চালকল মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ধানের দরে কোনো কারসাজি বা সিন্ডিকেট নেই। বাজারে নতুন ধান আসায় ধানের বাজার কিছুটা নিম্নমুখী।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা জাকারিয়া মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, কেউ যাতে অবৈধভাবে মজুদ করে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্য আমাদের মনিটরিং টিম নিয়মিত বাজার ও মিলগুলো ভিজিট করছে। ধানের মোকামে কোনোরকম সিন্ডিকেট তৎপর রয়েছে কি না সে বিষয়েও মনিটরিং টিম কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২২
আরএ