নড়াইল: স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবরে পারিবারিক কলহ ও মারধরের জেরে দুই শিশু সন্তানসহ বিষপানে আত্মহত্যাচেষ্টা করেছেন শিউলী বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে নড়াইল শহরের ভওয়াখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শিশুপুত্র গোলাম রাব্বী (৯) ও কন্যা ইলমাকে (৪) ট্যাং পানিয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পান করিয়ে পরে নিজেও খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই গৃহবধূ।
বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনই নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই গৃহবধূর স্বামী মিঠুর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায়। তার বাবার নাম দাউদ গাজী। তিনি নড়াইল শহরে হোটেলে কাজ করেন। আর স্ত্রী শিউলির বাবার বাড়ি নরসিংদী জেলায়। নড়াইল পৌর এলাকার ভওয়াখালী গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতো তারা। এ ঘটনার পর দ্বিতীয় স্ত্রীসহ মিঠু পলাতক রয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মিঠুর সঙ্গে ১৩ বছর আগে বিয়ে হয় শিউলী বেগমের। সম্প্রতি স্বামী মিঠু দ্বিতীয় বিয়ে করেছে -এমন খবরে পরিবারে কলহ বাড়তে থাকে। এরই জেরে বুধবার সকালে ঝগড়ার একপর্যায়ে ছেলে-মেয়ের সামনে গৃহবধূকে মারধর করেন স্বামী মিঠু। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিউলী বেগম দুপুর ১২টার দিকে ছেলেকে স্কুল থেকে বাড়ি নিয়ে আসেন। পরে ট্যাং গুলিয়ে তার মধ্যে ঘাসমারা বিষ মিশিয়ে পান করে দুই সন্তানসহ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মা নিজেও। এরপর প্রথমে সন্তানরা অসুস্থ হওয়া শুরু করলে প্রতিবেশীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
শিউলির শাশুড়ি বাংলানিউজকে জানান, তার ছেলে ও বউমা ঢাকায় থাকতেন। চার বছর আগে নড়াইলে চলে এসেছেন। ছেলে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর নাতি-নাতনি ও বউমা তার কাছেই থাকতেন। এর মধ্যে এমন একটা ঘটনায় মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
এ ব্যাপারে নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আসিফ ব্যস্ত থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আসাদ-উজ-জামান মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, মা ও ছোট মেয়েটি আশঙ্কামুক্ত নয়। তাদের যথাযথ চিকিৎিসা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এসআরএস