ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচন কমিশনের জন্য ‘ব্ল্যাংক স্মার্টকার্ড’ কেনার অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৩
নির্বাচন কমিশনের জন্য ‘ব্ল্যাংক স্মার্টকার্ড’ কেনার অনুমোদন

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের জন্য ‘ব্ল্যাংক স্মার্টকার্ড’ কেনার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) এ ‘ব্ল্যাংক স্মার্টকার্ড’ কেনা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ কর্তৃক বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জন্য ‘ব্ল্যাংক স্মার্টকার্ড’ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভার পাশাপাশি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য দুটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। দুটি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন পাওয়া আর একটি প্রস্তাব আসে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। এ প্রস্তাবটি ছিল বিআইডিব্লউটিএ কর্তৃক ‘মোংলা থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌরুটের নাব্যতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের চারটি লটের সংরক্ষণ ড্রেজিংকাজ। এটিও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে ১৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাতটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একটি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল। এ ১৩টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ১২১ কোটি ৬২ লাখ ৩ হাজার ৩৯৯ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় ১ হাজার ১৮ কোটি ৬৭ লাখ ৫৮ হাজার ১১১ টাকা। দেশীয় ব্যাংক, বিশ্বব্যাংক ও এআইআইবি অর্থায়ন ১ হাজার ১০২ কোটি ৯৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৮ টাকা। ১৩টি প্রস্তাবের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব বাদে বাকি সবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন না পাওয়া প্রস্তাবটির জন্য ব্যয় ধরা হয় ১৯৯ কোটি ২২ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯২ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৩
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।