কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় সন্তানকে মারধর করায় স্বপ্না আক্তার (২৫) নামে এক নারীকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত স্বামী কাউসার মিয়াকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামি কাউসার মিয়াকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার কাউসার মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের চরকামালপুর গ্রামের মৃত জিল্লু মিয়ার ছেলে।
অন্যদিকে নিহত স্বপ্না আক্তার (২৫) কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মরম আলীর মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাত বছর আগে কাউসার মিয়ার সঙ্গে স্বপ্না আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবনে আরাবী (০৪) নামে এক ছেলে রয়েছে। কয়েকদিন আগে আরাবী তার ছোট চাচা ইউছুফ মিয়ার ঘরে ঢুকে তাদের ব্যবহারের টুথপেস্ট নষ্ট করে ফেলে। এ বিষয় নিয়ে ইউছুফ মিয়ার স্ত্রী রুপা বেগম আরাবীর মা স্বপ্নাকে গালিগালাজ করেন। এতে স্বপ্না রাগে ছেলে আরাবীকে মারধর করেন। এ সময় কাউসার মিয়া ছেলেকে মারতে দেখে রাগের মাথায় স্ত্রী স্বপ্নাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও পেটে লাথি মারেন। এতে স্বপ্না মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বপ্নার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত স্বপ্না আক্তারের বাবা মরম আলী বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-কাউসার মিয়া, তার ছোট ভাই ইউছুফ মিয়া (২৪) ও ইউছুফ মিয়ার স্ত্রী রুপা বেগম (২০)।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাতে ময়মনসিংহ জেলা সদরের চরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান আসামি কাউসার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, মামলার প্রধান আসামি কাউসার মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২৯) দুপুরে তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
আরএ