ঢাকা: রাজধানীর মুগদা মাণ্ডা এলাকায় মমতাজ বেগম মরনী (৫০) নামে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় আদালতে হত্যার (১৬৪ ধারায়) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তার সন্তান সোহান।
এরআগে, এই ঘটনায় নিহত নারীর স্বামী নিরাপত্তা কর্মী আব্দুল জলিল থানায় একটি মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, পরিবার থেকে করা সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয় সোহানকে। পরে নিহতের ছেলে সোহান ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তিনি আরও বলেন, বন্ধুর মোটরসাইকেল মেরামতের টাকা সোহান তার মা মমতাজ বেগমের কাছে দাবি করলে, এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সোহান তার মায়ের মুখে ৪-৫টা ঘুষি মারেন। পরে এক পর্যায়ে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
আরও পড়ুন: মুগদায় মাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে আটক
ওসি বলেন, সোহান তেমন কিছু করতেন না, শুধু ঘুরে বেড়াতেন। তিনি তার বন্ধু আরাফাতের মোটরসাইকেলটি সব সময় চালাতেন। তার হাতেই মোটরসাইকেলটি নষ্ট হয়ে যায়। একপর্যায়ে সোহান মাণ্ডা এলাকায় একটি ওয়ার্কশপে মোটরসাইকেলটি ঠিক করতে দেন। সেখানে মেরামতের পরে জানতে পারেন সাড়ে তিন হাজার টাকা লাগবে। এই টাকাই সোহান তার মার কাছে দাবি করে। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মাকে হত্যা করেন তিনি। এ হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
এদিকে নিহত মমতাজের বড় ছেলের স্ত্রী ডলি আক্তার জানান, তিনি স্বামীকে নিয়ে থাকেন মধ্য বাড্ডায়। গতকাল বুধবার সকালে তার মেঝো দেবর তাদেরকে ফোন দিয়ে জানান, তার শাশুড়িকে কারা যেন মেরে ফেলেছে। পরে ওই বাসায় গিয়ে শাশুড়ির মরদেহ দেখতে পান তিনি।
তিনি জানান, পুলিশের কাছ থেকেই তারা শুনেছেন, নিহতের ছোট ছেলে সোহানই তাকে খুন করেছেন। সাড়ে তিনহাজার টাকার জন্য প্রথমে তার মাথায় আঘাত করেছিল। এরপর তার ওড়না দিয়েই গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
এজেডএস/এসআইএ