দিনাজপুর: ভরা মৌসুমেও দাম না কমায় ভারত থেকে আলু আমদানি করছিলেন আমদানিকারকরা। এর মধ্যেই স্থানীয় আলু চলে আসে বাজারে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলুর কোনো ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকেনি। এর আগে গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে এ বন্দর নিয়ে আলু আমদানি বন্ধ করেন সংশ্লিষ্টরা।
আলু আমদানি বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন মল্লিক।
আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের বাজারে দাম কমে যাওয়ায় আলু আমদানি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই তারা আমদানি বন্ধ রেখেছেন। আলু আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
হিলি বন্দরের আলু আমদানিকারক প্রতিনিধি মো. মাহবুব হোসেন বলেন, দেশের বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক রাখতে ১ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমতি পাওয়ার পর হিলি দিয়ে আলু আমদানি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। তবে দেশের বাজারেই আলুর দাম কম থাকায় লোকসান হচ্ছে তাদের। সরকার আলু আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করলে আমদানিকারকরা উপকৃত হতেন। ভারত থেকে আলু আমদানিতেও উৎসাহিত হতেন।
হিলি উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ আলী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে হিলি বন্দরের ৫২ জন আমদানিকারক ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানির অনুমতি পান। গত শনিবার থেকে হিলিবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু করেন তারা। লোকসান হয় জানিয়ে তারা এখন আমদানি বন্ধ রেখেছেন।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, আমদানি অনুমোদনের পর গত শনিবার ভারতীয় চারটি ট্রাকে ১০০ মেট্রিক টন আলু হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসে। রোববার ৮ ট্রাকে আসে ২০০ মেট্রিক টন; সোমবার নয় ট্রাকে ২৩১ মেট্রিকটন ও মঙ্গলবার ৫ ট্রাকে ১২৫ মেট্রিকটন আলু বাংলাদেশে আসে। বুধবার থেকে লোকসানের আশঙ্কায় বন্ধ হয় আলু আমদানি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
এমজে