ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ জুন ২০২৪, ১৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

নবজাতক চুরি হওয়া সেই ওয়ার্ড থেকে নারী আটক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৪
নবজাতক চুরি হওয়া সেই ওয়ার্ড থেকে নারী আটক

ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলার লেবার ওয়ার্ড থেকে সাদা অ্যাপ্রোন পরে ঘোরাঘুরি করার সময় রিপা আক্তার (২০) নামে এক নারীকে আটক করেছেন আনসার সদস্যরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, যেহেতু সাদা অ্যাপ্রোন পরে সন্দেহজনকভাবে হাসপাতালে ঘোরাঘুরির কারণে তাকে আটক করে পুলিশকে দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে পুরাতন ভবনের গাইনি বিভাগের ২১২ লেবার ওয়ার্ডের অ্যাপ্রোন পরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় দায়িত্বরত নারী আনসার সদস্যরা তাকে আটক করেন।

হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবেশ পথে দায়িত্বরত নারী আনসার সদস্য লুৎফা জানান, রিপা নামে ওই নারী সাদা অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় ওয়ার্ডের ভেতরে ঘোরাঘুরির সময় তার কাছে হাসপাতালে আসার কারণ ও পরিচয় জানতে চাওয়া হয়।

রিপা নামে ওই নারী উপযুক্ত কারণ ও পরিচয় দিতে না পারায় বিষয়টি হাসপাতালের আনসার কর্তৃপক্ষদের অবগত করা হয়। পরে তাকে আটক করে হাসপাতালে প্রশাসনিক ব্লক এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে সাদা অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় আটক ওই নারী হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, মামুন নামে তার এক বন্ধুর কাছ থেকে সাদা অ্যাপ্রোন নিয়ে তিনি গায়ে পরেছেন। এটা পরে হাসপাতালে আসাটা তার ভুল হয়েছে। তবে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের প্রবেশের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, তার এক বন্ধুর মা এখানে আসার কথা তাই তিনি এসেছেন।

তিনি জানান, ২০১০ সালে তিনি এসএসসি পাস করেছেন। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করেন বলে দাবি করেন এবং তিনি হাজারীবাগের সেকশন ঢাল এলাকায় একটি বাসায় থাকেন।

হাসপাতালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আনসার সদস্যদের প্রধান প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মিজানুর রহমান জানান, ওই নারীকে আটকের পরপরই একেক সময় একেক কথা বলছেন। একবার বলেন, নিউমার্কেটে থাকেন আবার বলেন হাজারীবাগ এলাকায় থাকেন। তবে ওই নারীকে আটকের পর তিনি প্রথমে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেননি।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, অ্যাপ্রোন পরা ওই নারীকে ২১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আটকের পরপর সেই নারী নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেননি। কিন্তু অ্যাপ্রোন পরে লেবার ওয়ার্ডে তার ঘোরাঘুরি সন্দেহজনক। কারণ কিছুদিন আগে ওই লেবার ওয়ার্ড থেকেই একটি নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটে। যাই হোক ওই নারীকে আমরা পুলিশে দিচ্ছি। বিস্তারিত পুলিশ খুঁজে বের করবে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমরা সহযোগিতা করব।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৪
এজেডএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।