কুষ্টিয়া (ইবি): কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্যের পর এবার উপ উপাচার্যকেও অপসারণ করা হয়েছে। তবে উপ উপাচার্যের পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলে শিক্ষা মন্ত্রনাণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে উপাচার্য ড. এম আলাউদ্দিন অবাঞ্ছিত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ যত পদোন্নতি ও প্রশাসনের রদবদল করেছে তা বাতিল ও কোষাধ্যক্ষের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেবে না বলেও জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, নিয়োগে অনিয়োমের অভিযোগে উপাচার্য, উপ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছে ইবি শিক্ষক সমিতি।
শিক্ষকদের এ আন্দোলনের মুখে গত ২৭ ডিসেম্বর উপাচার্যকে অপসারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম সরকারকে নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় রাষ্ট্রপতি।
পরে ২৮ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি এক বিবৃতির মাধ্যমে উপ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। বিবৃতিতে দাবি আদায় না হলে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
ফলে মঙ্গলবার উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, “মঙ্গলবার উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। ”
উপ উপাচার্য পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এখনও কাউকে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ”
অব্যাহতির ব্যাপারে জানতে চাইলে উপ উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, “আমি শুনেছি যে, আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অফিসিয়ালি আমাকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। ”
এদিকে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বাংলানিউজকে বলেন,“দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্য ও উপ উপাচার্যকে সরকার উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ায় আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু একজন এখনো বাকি। তাকেও অপসারণ করতে হবে। ”
এসময় তিনি আরও বলেন, “উপাচার্য অবাঞ্ছিত অবস্থায় প্রক্টরসহ যত পদোন্নতি ও প্রশাসনের রদবদল করেছে তা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবো। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১২
সম্পাদনা: শামীম হোসেন, নিউজরুম এডিটর