ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

চিকিৎসকের অবহেলায় চোখ হারালেন ব্যবসায়ী নেতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
চিকিৎসকের অবহেলায় চোখ হারালেন ব্যবসায়ী নেতা

ঢাকা: চিকিৎসকের অবহেলায় চোখ হারালেন খুলনার কপিলমুনি বণিক সমিতির সভাপতি এম বুলবুল আহমেদ। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েও লাভ হয়নি।

সর্বশেষ ন্যায় বিচার পেতে তিনি সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
 
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের কাছে অভিযোগপত্র দেন পাইকগাছা উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের বুলবুল আহমেদ।

অভিযোগে পত্রে তিনি জানান, বাম চোখে ঝাপসা দেখায় তিনি খুলনার শিরোমনি এলাকার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে ডা. বাহাউদ্দিন মালিকের কাছে যান। চিকিৎসক তাকে ছানি অপারেশনসহ লেন্স বসানোর পরামর্শ দিলে তিনি গত ২০ জানুয়ারি ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন তার চোখ অপারেশন করে লেন্স লাগিয়ে দেন ডা. বাহাউদ্দিন। কিন্তু অপারেশনের দিন দায়িত্বরত এক নার্স চোখে ইনজেকশন পুস করলে তিনি তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। বিষয়টি নার্স ও চিকিৎসককে জানালে সব ঠিক আছে বলে তারা জানান। কিন্তু লেন্স স্থাপনের পরও দেখতে না পাওয়ায় তিনি গত ২৯ জানুয়ারি, ২২ ফেব্রুয়ারি ও ২৮ এপ্রিল ডা. বাহাউদ্দিন মালিকের কাছে যান। সর্বশেষ চিকিৎসক তাকে ঢাকায় অন্য হাসপাতালে রেটিনা অপারেশনের পরামর্শ দেন। গত ৮ মে চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জালাল আহমদের কাছে গেলে তিনিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একই পরামর্শ দেন।
 
লিখিত আবেদনে আরও বলা হয়েছে, উন্নত চিকিৎসার জন্যে বুলবুল আহমেদ ভারতের শঙ্কর নেত্রালয় ও রেনুকা আই ইনস্টিটিউটে গেলে সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার চোখের রেটিনা ফেটে যাওয়ার বিষয়টি জানান। ইনজেকশনের সুঁইয়ে রেটিনা ফেটে যাওয়ায় ভারতের চিকিৎসকরা ক্ষোভও প্রকাশ করেন। তারা জানান, চোখ প্রতিস্থাপন করা ছাড়া এ সমস্যার সমাধান নেই। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
 
লিখিত আবেদনে বুলবুল আহমেদ অভিযোগ করেন, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। তাই তিনি সংসদীয় কমিটির দ্বারস্থ হয়েছেন। আগামীতে অন্য কেউ যেন এ ধরনের অপচিকিৎসার শিকার না হন সেজন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
এসএম/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।