বরিশাল: এখনো জমে ওঠেনি বরিশাল নগরের কোরবানির পশুর হাট। প্রতিটি হাটেই এবার গরু সরবরাহ কম।
এছাড়া এখনো দেখা মেলেনি ভারতীয় গরুর। এ কারণে ক্রেতা সমাগমও কিছুটা কম। হাটে এসে দাম দর করলেও গরু না কিনেই অধিকাংশ ক্রেতা ফিরে যাচ্ছে।
গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির গরুর দাম বেশ চড়া বলে জানিয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়পক্ষই। প্রতিটি হাটে দেশি ছাগল ও খাসির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম গতবারের তুলনায় অনেক বেশি।
হাট কর্তৃপক্ষের দাবি, দুই/একদিনের মধ্যে ভারতীয় গরু এলেই জমে উঠবে হাট।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় স্থায়ী গরুর হাট রয়েছে দু’টি। কোরবানি উপলক্ষে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন অস্থায়ীভাবে আরো পাঁচটি হাটের অনুমোদন দিয়েছে।
স্থায়ী-অস্থায়ী সাতটি পশুর হাটে এরই মধ্যে যশোর, কুষ্টিয়া ও খুলনা থেকে গরু আনতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।
বিক্রেতারা জানায়, নগরের মানুষ কোরবানির দুই/একদিন আগে হাটে আসে। তাই তখন হাটে বেচা-কেনা জমাজমাট হবে।
এবার গরুর দাম বেশ চড়া বলে জানিয়েছে ক্রেতারা। বরিশাল নগরে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া হাটগুলোতে কোরবানির দিন পর্যন্ত বেচা-কেনা চলবে।
প্রতিটি হাটেই নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রয়েছে জালটাকা শনাক্তকরণ মেশিন ও টাকা লেনদেনের জন্য বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু সাঈদ জানান, নগরের সাতটি হাটে নিরাপত্তার দায়িত্বে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। পাশাপাশি চাঁদাবাজি ও জাল টাকা সরবরাহ রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
এসআই