খুলনা: পরিবেশ ধ্বংস করে লবণ পানির বাণিজ্যিক চিংড়ি চাষ কোনোমতেই কাম্য হতে পারে না। তাই ফসলি জমিতে চিংড়ি চাষের পরিবর্তে কৃষিভিত্তিক বহুমুখি ক্ষেত খামার গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের হরিণখোলায় শহীদ করুণাময়ী মঞ্চে আয়োজিত ভূমিহীন সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।
পরিবেশ বিধ্বংসী লবণ পানির বাণিজ্যিক চিংড়ি চাষবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী করুণাময়ী সরদারের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে করুণাময়ী স্মৃতি মঞ্চ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ভূমিহীন নেতা নূর আলী গাজী। বক্তৃতা দেন কৃষক লীগ নেতা শ্যামল সিংহ রায়, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু, চালনা পৌরসভার মেয়র অচিন্ত কুমার মণ্ডল, সিপিবি নেতা সুভাস সানা মহিন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সমরেশ হালদার, ভূমিহীন নেতা মোস্তফা সরদার, আবুল কাশেম মোল্যা, কৃষ্ণা মণ্ডল, আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, গ্রামীণ জনপদের সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সমাজের প্রতিটি শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। নারী নির্যাতনকারী, জুলুমবাজ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলেই নির্যাতিত-নীপিড়িত-বঞ্চিত-ভূমিহীন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
অধিকার ভিত্তিক সংগঠন নিজেরা করি সংগঠিত ভুমিহীনদের এ সমাবেশে খুলনার পাইকগাছা, ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটাসহ বিভিন্ন উপজেলার সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, উন্নয়নকর্মী, রাজনীতিক ও মানবাধিকার কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক ভূমিহীন উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯০ সালের ৭ নভেম্বর পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নে লবণ পানির বাণিজ্যিক চিংড়ি চাষবিরোধী মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় ভূমিহীন নেত্রী করুণাময়ী সরদার সন্ত্রাসীদের নিক্ষিপ্ত বোমা ও গুলিতে নিহত হন। সেই থেকে প্রতি বছর ৭ নভেম্বর তার স্মৃতি রক্ষার্থে হরিণখোলায় নির্মিত শহীদ করুণাময়ী স্মৃতি মঞ্চে স্মরণসভা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় ভূমিহীনরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৫
এমআরএম/এএসআর