ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নিয়োগবিধি সংশোধনের প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৫
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নিয়োগবিধি সংশোধনের প্রস্তাব ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সড়ক নিরাপত্তা বিধানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন (বিআরটিএ আইন-২০১৫) করার উদ্যেগ নিয়েছে সরকার। প্রস্তাবিত এ আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের সুপারিশ করেছে বিশিষ্টজনেরা।


 
প্রস্তাবিত আইনের কিছু ধারা সংশোধন জরুরি বলে মনে করেন সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক মাল্টি স্টেকহোল্ডার গ্রুপের আহ্বায়ক পিপিআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
 
শনিবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের  পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের সভাকক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব সুপারিশ তুলে ধরেন। পরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন সুপারিশগুলো বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এ সভার আয়োজন করে।
 
ড. হোসেন জিল্লুর রহমান তার প্রস্তাবনায় বলেন, বর্তমানে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নিয়োগের বিধানটি সংশোধন জরুরি। প্রস্তাবিত আইনে চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে ধারা ১০ (২) বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে সরকার চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়। এক্ষেত্রে তার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনা করা হয় না। এজন্য প্রস্তাব করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের কার্যাবলীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দক্ষতা ও উপযুক্ততা এবং উচ্চ পেশাদারিত্বের প্রমাণ যাচাই শেষে নিয়োগ দেওয়ার বিধান সন্নিবেশিত করতে হবে।
 
তিনি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করার ওপরও জোর দেন। দুর্ঘটনা উত্তর গবেষণা প্রতিবেদন রাখার প্রস্তাব করেন। সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত মোটরযানের দুর্ঘটনাত্তোর পরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুতে বৈজ্ঞানিক রুপরেখা প্রণয়ন, পরীক্ষা করার সামর্থ্যবান পরীক্ষকদের যোগ্যতা নির্ণয়েরও প্রস্তাব করেন।
 
কমিটির সভাপতি তাদের প্রস্তাবের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে বলেন, আইনটি  এখনো সংসদে আসেনি। আলোচনা করে এসব সংশোধনী গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে। এক্ষেত্রে কমিটির আলোচনায় স্টেকহোল্ডারদের ডাকা যেতে পারে বলেও জানান সভাপতি।

কমিটির সদস্য খাদ্য প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, আইনের জন্য মানুষ না,  মানুষের জন্য আইন। তাই আইন করার আগে দেখতে হবে যেন সেটি জনকল্যাণকর হয়।
 
কমিটির সদস্য নাজমুল হক প্রধান বলেন, জনগণের নিরাপত্তার জন্য যে আইন করতে যাচ্ছে, সেগুলো পাবলিক মতামতের ভিত্তিতে হয়নি। এগুলো একপক্ষীয় হয়ে গেছে। শুধুমাত্র মালিক ও এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশ করা হয়েছে। তাই আইন করার আগে জনস্বার্থের কথা বিবেচনার দাবি জানান তিনি। আজ যে সব সুপারিশ আসছে সেগুলোর বিবেচনারও অনুরোধ জানান তিনি।
 
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তৃতা করেন বিআরটিএ সচিব ও পরিচালক (অপারেশন) মুহাম্মদ শওকত আলী, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান ফারুক তালুকদার সোহেল, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ইমারজেন্সি মেডিসিনের প্রেসিডেন্ট ডা. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোকলেছুর রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ওসমান গণি, ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জের  কর্মসূচি সমন্বয়ক সদরুল হাসান মজুমদার প্রমুখ।
 
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও স্বাগত বক্তব্য দেন ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জের  পরিচালক কেএএম মোর্শেদ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৫
এসএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।