ঢাকা, সোমবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৫
বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মাগুরা: প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল মেয়েটি(১৬)। রাস্তায় তিন বখাটে যুবক তার গতিরোধ করেন।

এরপর কু-প্রস্তাব। রাজি না হওয়ায় তাকে মারপিট করে গায়ের জামা ছিঁড়ে ফেলেন। এ অপমান সইতে না পেরে বাড়ি এসে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় মেয়েটি। সে এখন মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

শনিবার(৭ নভেম্বর) দুপুরে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাশবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটি এ বছর পলাশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। তার বাবা প্রয়াত রোকন উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো. শাহীন হোসেন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার আলী রেজা খোকন মেয়েটিকে দেখতে হাসপাতালে যান।

ছাত্রীর মা সাংবাদিকদের জানান, দুপুরে তার মেয়ে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় পলাশবাড়িয়া এলে তুফান (২২), ছন্টু (২১) ও ওহিদুল (১৯) নামে তিন যুবক তার পথরোধ করেন। এসময় তারা তাকে বাজে প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও যৌন হয়রানি করেন। এতে তার গায়ের জামা ছিড়ে যায় ও কিছুটা আহত হয়।
রাস্তায় লোকজন আসতে দেখে তিন যুবক মেয়েটিকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।

সে বাড়ি এসে অপমান সইতে না পেরে সবার অজান্তে বিষপান করে। জানতে পেরে তার ভাই দ্রুত তাকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

মেয়েটির ভাই জানান, জাহিদ মোল্লার ছেলে তুফান, মৃত ময়েন মোল্লার ছেলে ছন্টু ও কালু মোল্লার ছেলে ওহিদুল এলাকায় তারা বখাটে বলে পরিচিত। এর আগেও এদের হাতে তার বোনসহ স্কুলগামী বেশ কয়েকজন ছাত্রী লাঞ্ছিত হয়েছে।

মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কাজী আবু আহসান জানান, তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে আরও কয়েক ঘণ্টা না গেলে পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।
পলাশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমেদ জানান, সে এবার তার বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। এ ঘটনায় মেয়েটির লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটলো। তিনি ওই বখাটেদের বিচার দাবি করেন।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীন হোসেন বলেন,আমি ওই ছাত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রিয়াজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৫
পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।