ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ পৌষ ১৪৩১, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিবাদলিপি নিয়ে পাকিস্তান হাইকমিশনে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫
প্রতিবাদলিপি নিয়ে পাকিস্তান হাইকমিশনে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকরের পর পাকিস্তানের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও বিরূপ মন্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকায় পাকিস্তানি হাইকমিশনে প্রতিবাদলিপি দিতে গেছে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় প্রতিবাদলিপি দিতে রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে মিছিল নিয়ে রওনা দেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নেতারা।



বেলা সাড়ে ১২টায় মিছিলটি বনানী মাঠের কাছে পৌঁছালে সেখানে তাদের আটকে দেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এরপর তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল হাইকমিশনে প্রতিবাদলিপি নিয়ে যায়।

প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ (বীরউত্তম), সিনিয়র সহ-সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) এম হারুন অর রশিদ (বীরপ্রতীক) ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল সাংবাদিক হারুন হাবীব।

রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে রওয়ানা দেওয়ার সময় সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) এম হারুন অর রশিদ বলেন, ১৯৭১ সালে যেই বর্বরতা সংগঠিত হয়েছিলো সেটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সেই বর্বরতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেছে। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে এই বিচার কার্য সম্পন্ন হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে ভঙ্গ করছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে যাদের শাস্তি হয়েছে তাদের হয়ে কাজ করছে এবং তাদের পক্ষে বক্তব্য রাখছে। এতে প্রমাণিত হয় তারা (যুদ্ধাপরাধীরা) পাকিস্তানের দোসর। সেই দোসরদের বাংলাদেশে জিইয়ে রাখার জন্য পাকিস্তান সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অতিসম্প্রতি তারা বলেছে, ১৯৭১ সালে কোনো যুদ্ধাপরাধ হয়নি, তারা কোনো অন্যায় কাজ করেনি।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো অপরাধের দায় তারা (পাকিস্তান) অস্বীকার করতে পারে না, আর অস্বীকার করলেও তা হবে না – যোগ করেন এম হারুন অর রশিদ।

তিনি আরও বলেন, আমরা সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাই, পাকিস্তান যেই অসত্য বক্তব্য দিয়েছে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করবে।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে লে. জেনারেল (অব.) এম হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের দাবি তালিকাভুক্ত ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর বিচার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিচার কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, অতিসম্প্রতি দেখছি- পাকিস্তান আমাদের দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। আমরা এর জোর প্রতিবাদ জানাই এবং বাংলাদেশ সরকারকে বলতে চাই- যেহেতু পাকিস্তান সরকার কোনো নীতি মানে না। সেজন্য কোনো আন্তর্জাতিক সংগঠনে পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা থাকবো না। আমরা চাই পাকিস্তানকে সার্ক থেকে দূর করে অন্যান্য আন্তর্জাতিক যে সমস্ত সংস্থা আছে সেখান থেকে তাদের বহিষ্কার করা হোক। আমরা এই দাবিগুলো পাকিস্তান হাইকমিশনের কাছে হস্তান্তর করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৫/আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা
এনএইচএফ/জেএডএফ/এমজেএফ/

** পাকিস্তান হাইকমিশন অভিমুখে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।