ঢাকা: ছোট খাল এঁকেবেঁকে চলে গেছে। সেটি পারাপারের জন্য নৌকা থাকবে, স্বাভাবিক।
কিন্তু সেটি যদি হয় রাজধানীর বুকে, তাহলে বেশ অবাকই হতে হয়। হাতিরঝিল খালের দুইপারের এলাকা রামপুরা বনশ্রী ও আফতাব নগর। এ খাল পারাপারের ক্ষেত্রে ঘটেছে এ অবাক ব্যাপার।
মজার বিষয়, খাল পারাপারে একই সঙ্গে নৌকা ও বাঁশের সাঁকোর ব্যবহার হচ্ছে। আরও ভালো করে বললে, খালের অর্ধেক পথ নৌকা, বাকি অর্ধেক পথ সাঁকো। এ দুই মাধ্যমেই খাল পার হচ্ছেন এ দুই পারের বাসিন্দারা।
রাজধানী মানেই যেখানে ইট-পাথরের উঁচু দালান, পিচঢালা রাস্তা, মানুষের ভিড়, তিল ধারণের ঠাঁই নেই- সেখানে খাল-বিল ঠিক যায় না। নৌকা পারাপার, বাঁশের সাঁকো তো আরও বিলাসিতা!
একসময় ছোট ছোট নদী বা খাল পারাপারের জন্য বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই খেয়াঘাট ছিলো। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে সেসব বদলে তৈরি হয়েছে পাকা ব্রিজ ও কালভার্ট। সেও এখন পুরনো হতে চললো।
ফিরে আসি যথাস্থানে। সকাল থেকেই শুরু হয় পারাপার। বনশ্রী থেকে আফতাব নগর বা আফতাব নগর থেকে বনশ্রী- যোগাযোগের মূল ভরসা এই খেয়াঘাট।
দৈনন্দিন পারাপারে আট থেকে আশির বাদ যায় না কেউই। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক- এই নৌকা-সাঁকোতে সবারই পা পড়ে।
খাল পারাপারের জন্য জনপ্রতি ভাড়া দুই টাকা। একদিকে ছোট টোলঘর বসিয়ে চলে ভাড়া তোলার কাজ।
লাইন ধরে সুশৃঙ্খলভাবে অল্প পথ নৌকায় এরপর বাকিটা সাঁকো। ব্যস, পৌঁছে গেলেন এপার থেকে ওপার।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
এসএস/জেডএম