ঢাকা, রবিবার, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রাতে ওষুধের দোকান বন্ধ, বিপাকে রোগীরা

মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
রাতে ওষুধের দোকান বন্ধ, বিপাকে রোগীরা ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাত ১১টায় হঠা‍ৎ অসুস্থতাবোধ করেন রাব্বি। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মনে করে ওষুধও সেবন করেন।

কিন্তু কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছিলেন না। ১২টার পর বাথরুমে যাওয়ার পাশাপাশি শুরু হয় বমিও।

ঘরে কোনো ওষুধ নেই। রাব্বি যে মহল্লায় থাকেন রাত ১১টা বাজতেই সব ওষুদের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। সেটা জেনেও এক বন্ধুকে বাইরে পাঠান। কিন্তু বন্ধু বিফলে ফেরত আসেন। প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা ছাড়াই ভোর রাতে জরুরি অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান বন্ধুরা।

রাব্বির ঘটনাটি কাল্পনিক হলেও রাজধানীতে রাতের বেলা ওষুধের দোকান খোলা না থাকায় অহরহ এমন ঘটনা ঘটছে। অনেকেই বিভিন্ন রোগের জন্য নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন। কিন্তু  রাতের বেলায় ফার্মেসি খোলা না থাকায় তাদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে।  

সোমবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাত ২টার দিকে শাহবাগ. আজিমপুর গুলশান,বনানী ও ফার্মগেটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে একটি ওষুধের দোকানও খোলা পাওয়া যায়নি।

অধিকাংশ ওষুধের দোকানই ১১টার পর বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় দোকানদাররা।   তবে রাজধানী ধানমন্ডির কলাবাগানে লাজফার্মা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে কয়েকটি ওষুধের দোকান খোলা পাওয়া যায়।
 
এমনকি, স্কয়ার, সমরিতা ও ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনের ওষুধের দোকানগুলো বন্ধ পাওয়া যায়।

কোনো রোগীর জরুরি ওষুধের প্রয়োজন হলে আপনারা কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালে ডিউটিরতরা জানান, হাসপাতাল চলার মতো কিছু ওষুধ রাখা হয়। আমাদের রাতের বেলায় ফার্মেসিতে যেতে হয় না। তবে রাতের বেলায় জরুরি প্রয়োজনে ওষুধের ফার্মেসিগুলো দোকান বন্ধ থাকায় এলাকার সাধারণ মানুষ পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
 
এদিকে রাতে কলা বাগান বাসস্ট্যান্ডে লাজ ফার্মার সঙ্গে কয়েকটি মোদি ও স্টেশনারী দোকান খোলা থাকলে এ এলাকা ওষুধের বড় দোকান তাজরিন ফার্মেসি বন্ধ দেখা যায়।

বন্ধ থাকার বিষয়ে তাজরিন ফার্মেসির নিরাপত্তা প্রহরী আফজাল হোসেন বলেন, ফার্মেসি কেন এতো তাড়াতাড়ি বন্ধ হয় তা আমি বলতে পারবো না।
 
মধ্যরাতে তেজগাঁও থেকে বাবার জন্য ওষুধ কিনতে লাজ ফার্মায় এসেছেন সামিন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যে এলাকায় থাকি সেখানে রাত ১১টার পর অন্য দোকান খোলা থাকলেও ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে যায়। আমার বাবা প্রতিদিন ওষুধ সেবন করেন। হঠাৎ আজ ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। এলাকায় ফার্মেসি বন্ধ পেয়ে এখানে এসেছি।
 
লাজ ফার্মার সুপারভাইজার সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মানুষকে ২৪ ঘণ্টা সেবা দেই। আমার মনে হয়, প্রত্যেক মহল্লায় ভাগ করে একটি করে ফার্মেসি খোলা রাখার ব্যবস্থা করা উচিত। এতে জরুরি প্রায়োজনে মানুষ তার ওষুধ কিনতে পারবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এমসি/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।