বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়ায় আগ্নেয়াস্ত্র ও হাতবোমাসহ আটক নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির চার সদস্যের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও কচুয়া থানা পুলিশ পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আটক চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ছয়/সাত জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
তারা হলেন, কচুয়া উপজেলার রাঢ়িপাড়া ইউনিয়নের কাকারবিল গ্রামের বেদার উদ্দিন মোল্লার ছেলে আকাশ মোল্লা ওরফে বাবু (১৯), পিরোজপুর সদর উপজেলার মাছিমপুর দক্ষিণ শেখপাড়া গ্রামের আব্দুল হাই শেখের ছেলে হাবিবুল্লাহ শেখ (১৯), একই জেলার নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর খেজুরতলা গ্রামের লোকমান ফরাজীর ছেলে কবিরুল ফরাজী (২৬) ও মঠবাড়িয়া উপজেলার সোনাখালী গ্রামের মো. আলম হাওলাদারের ছেলে মিজানুর রহমান হাওলাদার (২৮)।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) পংকজ চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, কচুয়ার খলিসাখালী গ্রামের সাফায়াত শেখের বাগান বাড়ি জেএমবির গোপন বৈঠককালে দিনগত রাত সোয়া ২টার দিকে ডিবি ও কচুয়া থানা পুলিশের একটি যৌথদল অভিযান চালায়।
জঙ্গিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি হামবোমা ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ৭-৮ রাউন্ড পাল্টা গুলি চালায়। এসময় তিন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়। পরে ওই চারজনকে আটক করা হয়।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় কচুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনসার উদ্দিন একটি এবং ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী (ডিভাইস), অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এসআর