নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কানে ধরে উঠবসের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির কাছে নিজের বক্তব্য দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে তিন সদস্যের দলের কাছে তিনি তার বক্তব্য দেন।
এদিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা সিএমএম আদালতের চিফ ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সার্কিট হাউজে আসেন ঢাকা মেট্রোপলিট্রন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ও গোলাম নবী। সাড়ে ১০টায় সার্কিট হাউজে প্রবেশ করে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে বেরিয়ে যান শ্যামল কান্তি ভক্ত।
লাঞ্ছিত শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে যে অপমান করেছে যা আপনারা দেখেছেন, সেটার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছি। ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। ধর্ম নিয়ে কটুক্তির কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এটা অতিরঞ্জিত কথা এবং পলিটিক্যাল ট্রিক্সও হতে পারে বা পলিটিক্যাল পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আমি সঠিক ও সঠিক তথ্যই দিতে পেরেছি।
তবে তিনি তদন্ত দলের কাছে কী বলেছেন তা বিস্তারিত জানা যায়নি। সার্কিট হাউজ থেকে বের হওয়ার পর কড়া পুলিশ প্রহরায় তাকে বের করা হয়। সকালেও কঠোর প্রহরায় তিনি সার্কিট হাউজে আসেন।
এর আগে, একই দল সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঘটনাস্থল বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে যে ছাত্রকে নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত, সেই রিফাত হাসানসহ ১৯ জনের বক্তব্য নেন। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত আরও কয়েকজনের বক্তব্য নেওয়া হবে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
জিপি/এসএনএস