ঢাকা: পাইলিং কাজের অগ্রগতির পাশাপাশি সেতুর সুপার স্ট্রাকচারের কাজেরও অগ্রগতি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পদ্মাসেতুর যে অগ্রগতি, তা সন্তোষজনক বলে মত দিয়েছেন সেতুর আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল।
এদিকে জার্মানির হ্যামারের পর এবার লুক্সেমবার্গ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে পদ্মাসেতুর রেললাইনের স্ট্রিংগার।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৩৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
মূল সেতুর ওপর যে রেললাইন বসবে, তার স্ট্রিংগার এসে পৌঁছেছে মাওয়ায়। লুক্সেমবার্গ থেকে বিশেষ অর্ডারের এসব স্ট্রিংগার নিয়ে আসা হয়েছে। এর আগে পাইলিং কাজের জন্য বিশেষ হ্যামার এসেছিলো জার্মানি থেকে। এছাড়া ভারতের পাকুর থেকে আনা বিশেষ পাথরে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ করা হয়েছে।
পদ্মা মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের জানান, লুক্সেমবার্গ থেকে পদ্মাসেতুর ওপর রেললাইন বসাতে স্ট্রিংগারগুলো আনা হয়েছে। এগুলোর ওপর কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে তার ওপরে বসানো হবে রেললাইন।
তিনি আরও জানান, লোহার তৈরি হলেও এসব স্ট্রিংগার কখনো বাঁকা হবে না।
গত তিনদিন ধরে পদ্মাসেতুর আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্যরা সেতু এলাকায় কাজের অগ্রগতি ঘুরে দেখেছেন। পরিদর্শনকালে সেতুর কাজে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা এবং কাজ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেন তারা। পরে কিছু সুপারিশও দেন।
সেতুর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রধান ও দেশের খ্যাতিমান ভূ-তত্ত্ববিদ ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, সেতুর দু’পাশে যে সংযোগ সড়ক তার কাজ প্রায় শেষ। এখন মূল সেতুর কাজই হচ্ছে বেশি।
এসব কাজ নিয়ে কিছু সুপরিশ তারা দিয়েছেন। সেতুর অন্যান্য কাজও ভালোভাবে এগোচ্ছে বলেও জানান ড. জামিলুর রেজা।
পদ্মাসেতু প্রকল্প সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত পদ্মাসেতুর তৃতীয় স্প্যান মাওয়ায় এসে গেছে। আর ভায়াডাক্টের ১৭টি পাইল পুরোপুরি শেষ হয়েছে।
রেল ভবন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মাসেতুর দুই পাশে ৬ জেলা জুড়ে চলছে জমি অধিগ্রহণের কাজ। মাস দুয়েকের মধ্যে রেললাইনের কাজও দৃশ্যমান হতে শুরু করবে।
৬ কোটি জনঅধ্যুষিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ দ্রুত ও সহজ করতে পদ্মাসেতু তৈরি হচ্ছে। স্বাধীনতার পর এটিই দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেতু বিভাগ বাস্তবায়ন করছে পদ্মাসেতু। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের দ্বিতল এই সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে ২০১৮ সালে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৬
এসএ/এএসআর