মিনার প্রাঙ্গণে পালিত হয়েছে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। যথাযোগ্য মর্যাদায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে একইভাবে এই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে এলেও এবার মিনারটির চিহ্নও নেই।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ফলকন উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এটি। মেঘনা নদীর ভাঙনে বিদ্যালয়সহ শহীদ মিনারটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন শহীদ মিনারটি কেবলই স্মৃতি।
১৯৭২ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে লুধূয়া বাজারের পাশে ফলকন উচ্চ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৫ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়। পরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মিত হয়। প্রতি বছর বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় জনগণ এই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতেন। গেল বছরের মে মাসে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকা নদীতে হারিয়ে যায়। সেই সঙ্গে বিলীন হয় শহীদ মিনারও।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নিশাদ ও রিয়াজ বলেন, প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রভাত ফেরি হতো। সবাই মিলে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতাম। এবার স্থানীয়রা শহীদ মিনারে ফুল দিতে পারবে না। ভাবতে খুব কষ্ট হয়।
ফলকন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জাকের বলেন, বিদ্যালয়, শহীদ মিনার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় হাজিরহাটের অদুরে ফলকন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের পাশে বিদ্যালয়টি সরিয়ে নেওয়া হয়। সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করেছে। শিক্ষার্থীরা নতুন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবে। কিন্তু বিলীন হয়ে যাওয়া শহীদ মিনারের স্মৃতি কখনো ভোলার নয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
এসআই