গাছগুলোতে শালিকসহ নানান জাতের পাখির কিচিরমিচির ডাকে মুখরিত মৌলভীবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়।
পলাশ নিয়ে অনেক জনপ্রিয় গান রয়েছে।
মৌলভীবাজারের এই পলাশ গাছগুলো দেখে তপন চৌধুরী গাওয়া সেই পলাশ ফুটেছে, শিমুল ফুটেছে…গানের হুবহু মিল পাওয়া যাবে। পলাশ ফুলের মতো শিমুল গাছগুলোও যেনো লাল রঙে রাঙানো।
পুরো গাছে কোথাও একটি পাতা নেই, লালে লাল হয়ে আছে। শাখাগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে বসন্তের রূপটা যেনো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তার ভিন্নতা। এ শুধু অনূভব করা নয়, সবকিছু দৃশ্যমান।
গাছে গাছে যখন সবুজ নতুন কুঁড়ি জন্মাচ্ছে, পলাশ-শিমুল তখন নিজেকে মেলে ধরেছে। পিছিয়ে নেই সজনে গাছও। সেও পাতাবিহীন সাদা ফুলের ঝাপি মেলে ধরেছে। কোনো কোনো গাছে ফুল ছাপিয়ে ডাটাও জন্ম নিয়েছে। আম গাছই বা কম কিসে, পুরো গাছ মুকুলে ঢাকা। মৌ মৌ গন্ধে মৌমাছির দল ছুটে বেড়াচ্ছে এ ফুল থেকে ও ফুলে। কাঁঠাল গাছেও মুচি আসতে শুরু করেছে। ফুলের ভারে নুয়ে পড়েছে লিচু গাছও।
একদিকে, মাটিতে যখন ঝরা পাতার মড়মড় ধ্বনি, অন্যদিকে ফুল ও নতুন কুঁড়ির রূপ দেখে মুগ্ধ হওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। বিশেষ করে যারা রাজধানীতে চার দেয়ালের মধ্যে থেকে হাপিয়ে উঠেছেন, যেসব শিশু বাংলার এসব ফুল-ফলের সঙ্গে পরিচিত নয়, তাদের জন্য খুবই জরুরি।
সন্তানদের পাশাপাশি নিজেও ঝালিয়ে নিতে পারেন শৈশবের স্মৃতিকে। গুণ গুণ করে গাইতে পারেন পলাশ ফুটেছে, শিমুল ফুটেছে, এসেছে দারুণ মাস। প্রকৃতি মনে করিয়ে দিবে হারানো সব স্মৃতি, ফিরিয়ে নিয়ে যাবে হারানো শৈশবে। এজন্য ঘুরে আসতে পারেন শ্রীমঙ্গলে। যারা বসন্ত উপভোগ করতে চান তাদের জন্য বিশেষ ছাড় দিচ্ছে টি হ্যাভেন রিসোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
এসআই/এসআই