মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকালে স্কুল ছাত্রীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।
বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী জানান, প্রধান শিক্ষক কাউসার বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেন এবং রুমে ও স্কুলের ছাদে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করেন। মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও ছাত্রীদের দেখান এবং বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করেন। এ ব্যাপারে কাউকে কিছু না বলতেও ভয়ভীতি দেখান।
এ ঘটনায় রোববার (১৬ এপ্রিল) পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিভাবক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময় আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। মোবাইল ফোনে খারাপ ছবি দেখান। এগুলো কারো কাছে বলতে নিষেধ করেন। বললে মারধরেরও ভয় দেখান।
স্কুলছাত্রীর অভিভাবক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাই লেখাপড়া শেখার জন্য। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময় মেয়েদের যৌন হয়রানি করেন। তিনি এ পর্যন্ত প্রায় বহু ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। ভয়ে তারা কিছু বলেনি। এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ১০ জনের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ আছে। আমার মেয়ের সঙ্গেও তিনি খারাপ আচরণ করেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে আমি ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। আমরা প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাউসার বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ছাত্রীদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করিনি।
ইউএনও মো. জিয়াউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রধান শিক্ষক কাউসারের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি। এ ব্যাপারে একাডেমিক ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
আরবি/আরএ