ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, অবৈধ পার্কিং, যানজট নিরসন ও ট্রাকের বাম্পার লাগানো প্রতিরোধে চালানো অভিযানে বের হয়ে আসে কাগজপত্রবিহীন অবৈধ স্টিকার লাগানো এসব গাড়ি।
তিনি বলেন, যানজটের মূল কারণ হলো এসব অবৈধ অতিরিক্ত যানবাহন।
এসব স্টিকারের কোনো বৈধতাই নেই বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।
গাড়িচালক ফরিদ ও নাজিম বাংলানিউজকে জানান, তাদের গাড়ির কোনো কাগজপত্র নেই, আছে পুলিশি স্টিকার। এ স্টিকার দিয়ে তারা রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছেন।
ওই চালকরা বলেন, হানিফ নামে এক ব্যক্তি তাদের গাড়িতে এ স্টিকার লাগিয়ে দিয়ে যান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব স্টিকার দিয়েই পুরো জেলাজুড়ে চলছে কয়েক হাজার অবৈধ গাড়ি। স্টিকার বিক্রি থেকে প্রতি মাসে আসে অর্ধ কোটি টাকা। এ টাকার ভাগ পুলিশসহ অনেকেই পেয়ে থাকেন।
ট্রাফিক ইনচার্জ মীর গোলাম ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, এটির সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের কেউ জড়িত নন। এটি মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা করে থাকেন। যেহেতু পুলিশের কথা বলা হয়েছে, তাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
এসএইচডি/জিপি/এএসআর