উত্তরা পশ্চিম থানার আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মিলা আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার ৪৭০ নম্বর কক্ষ থেকে পুষ্প রানীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত পুষ্প রানীর বড় ভাই জগদীশ চন্দ্র শীল জানান, ৮ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট পুষ্প। তার স্বামী দীনেশ চন্দ্র শীল নাপিতের কাজ করেন। তারা বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় দুই মেয়ে ও নাতনিকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বড় মেয়ে যমুনা রানী বিবাহিত ও ছোট মেয়ে পিংকি কলেজ ছাত্রী।
তিনি জানান, গত এক বছর ধরে লিটন নামের একজনের সঙ্গে তার বোনের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে লিটন প্রায় সময়ই তাদের বাসায় যাওয়া-আসা করতেন।
সম্প্রতি পুষ্প রানীর পরিবারের জরুরি ভিত্তিতে কিছু টাকার প্রয়োজন হয়। সোমবার (১৭ এপ্রিল) লিটন তাদের বলেন, ‘আমি ভূমি অফিসে চাকরি করি। আমার সঙ্গে অফিসে গেলে কিছু টাকা লোন এনে দিতে পারবো’। বিকালে পুষ্প রানী নাতনি মনিষাকে (যমুনার মেয়ে) নিয়ে লিটনের সঙ্গে বের হন। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তারা।
উত্তরা পশ্চিম থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জানে আলম দুলাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘নিহত পুষ্প রানীর সঙ্গে থাকা তার নাতনি শিশু মনিষাকে উদ্ধারে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। টাকা-পয়সার লেনদেন অথবা পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন খান বাংলানিউজকে জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে এক যুবকের সঙ্গে ওই নারী নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই হোটেল কক্ষটি ভাড়া নেন। সকালের দিকে হোটেলের লোকজন কক্ষের দরজা খোলা দেখে ভেতরে ঢুকে পুষ্পের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী পরিচয় দানকারী ওই যুবক তাকে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন। হোটেলের রেজিস্ট্রারে ওই যুবকের নাম দুর্জয় (৩২) লেখা আছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৭
এজেডএস/এএসআর
** উত্তরায় নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার