যার প্রমাণ মিললো মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে। রাত ১টার দিকেও শ্রমিকদের কর্মযজ্ঞ চোখে পড়লো কদমতলা বাজারে।
ট্রাক আনলোডে ব্যস্ত শ্রমিকরা জানান, রাত-দিন বলে কোনো কথা নেই। সময়মতো মাল পৌঁছানোটাই বড় ব্যাপার। এজন্য সবসময়ই ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের। আর তাদের কর্মযজ্ঞেই খুলনা শহরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যাচ্ছে মৌসুমী ফল তরমুজ ছাড়াও কলা, পিঁয়াজ, আলু, রসুনসহ নানা কাঁচামাল।
আড়ৎ মালিকরা জানান, মৌসুমী ফল তরমুজ আসে মূলত বরিশাল কুয়াকাটা থেকে। আর আলু, পিঁয়াজ, রসুন প্রভৃতি আসে উত্তরাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর প্রভৃতি জায়গা থেকে। ট্রাক ছাড়াও জলপথে কার্গোতে করে আসে এসব মালামাল। খুলনা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায় রাত পেহাতেই।
পাইকারি বিকিকিনি চলে রাতভর। তাই রেলস্টেশনে আগত যাত্রী সাধারণ ও কদমতলা বাজারের আড়তে নিয়োজিত মালিক-শ্রমিকদের রাতের ক্ষুধা মিটাতে সারারাত খোলা থাকে এখানকার হোটেল, কনফেকশনারি ও চায়ের দোকানগুলোও।
রেলস্টেশন সংলগ্ন মুসলিম হোটেল, সাগর হোটেল, এমএম বিরিয়ানি হাউস, ব্লু স্টোরসহ অন্য কনফেকশনারি ও চায়ের স্টলগুলোতে মধ্যরাতেও দেখা গেলো বেচাকেনার হিড়িক। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এসব হোটেল-রেস্তোরাঁ।
এসব হোটেল রেস্টুরেন্টে মধ্যরাতেও পরিবেশন করা হচ্ছে গরম রুটি, ভাজি, ভাত, সবজি, মাছ-মাংসসহ সব খাবার। আর কনফেকশনারি ও চায়ের স্টলগুলোতে উড়ছে গরম চায়ের ধোঁয়া।
স্থানীয় এমএম বিরিয়ানি হাউসের ব্যবস্থাপক মিলন খান বাংলানিউজকে জানান, রাত ২টায় গোয়ালন্দে একটি ট্রেন যায়। আবার শেষ রাতের দিকেও ফেরে কয়েকটি ট্রেন। সবমিলিয়ে ক্রেতার অভাব হয় না তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এএ