কর্মব্যস্ততার মধ্যেই রাত সাড়ে ৩টার দিকে বুলবুল আহম্মেদ, শহিদুল ইসলাম, শুকুর আলী, মোহাম্মদ আলী, আব্দুর রহিম, মতিয়ার রহমানসহ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, বগুড়া, কুষ্টিয়া ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এই মোকামে ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক সবজি আসে। যা প্রথমে এই মোকামের ১৫০-১৬০টি আড়তে নামানো হয়।
পরে বরিশাল, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর, কুয়াকাটা, ফরিদপুর ও ঢাকার বিভিন্ন বাজারের পাইকারি ব্যাপারীরা এসে সেই কাঁচামাল কিনে আবারও ২০ থেকে ২৫টি ট্রাক-পিকআপে গন্তব্যে নিয়ে যায়। এই কাঁচামাল লোড-আনলোডের কাজের জন্য শ’দুয়েক শ্রমিক রয়েছেন। এছাড়া প্রতিটি আড়তে স্থায়ীভাবে কাজ করেন আরও শতাধিক শ্রমিক।
শ্রমিক শুকুর আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমি সন্ধ্যায় মোকামে আসি। সারারাত কাজ শেষে ভোরে বাড়িতে যাই। সব মিলিয়ে আমার প্রতিরাতে আয় হয় ৫শ থেকে ৬শ টাকা। কতকাল রাতে ঘুমাইনি তার হিসাব নেই।
ঝিনাইদহ থেকে কলা ও বেগুন বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ী লাল চাঁদ বাংলানিউজকে বলেন, ঝিনাইদহের প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে তিনি কাঁচা কলা ও বেগুন কিনে প্রতি রাতে এই মোকামে আসেন। অন্য বাজারগুলোর তুলনায় এখানে দাম ভালো পাওয়া যায়। এজন্য গত বছর দু’য়েক ধরে এই বাজারে আসি।
পিরোজপুর থেকে সবজি কিনতে আসা পাইকারি ব্যবসায়ী নুরুল হক শিকদার বাংলানিউজকে জানান, এই মোকাম থেকে কাঁচামাল কিনে তিনি পিরোজপুরের বাজারে পাইকারি বিক্রি করেন। এতে প্রতি কেজিতে ২-৩ টাকা লাভ হয়।
খুলনা সোনাডাঙ্গা পাইকারি কাঁচা বাজারের মণিরামপুর বাণিজ্য ভাণ্ডারের মালিক রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সঠিক দামে ও হয়রানিমুক্তভাবে এ মোকাম পরিচালিত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এখানে কেনা-বেচা করতে আসেন।
রাতই এসব মানুষের জীবনের গতি, বেঁচে থাকা। বৈজ্ঞানিক সূত্র জীবন বিচারে অকার্যকরই বটে!
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
ইউজি/এএ