শনিবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘হাওরাঞ্চলে মানুষের কান্না: বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়ান’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান তিনি।
লিখিত বক্তব্যে বন্যায় হাওরে সৃষ্ট সমস্যাকে জাতীয় সংকট হিসেবে মন্তব্য করে হাওয়ার বেষ্টিত জেলাগুলোকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা ও জরুরি ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণের দাবি জানান গণফোরাম সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য তবারক হোসেন।
হাওরবাসীর দুর্গতির প্রধান কারণ দুর্নীতি বলে মন্তব্য করে কামাল হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধের দায়িত্ব গ্রহণ করে। দুঃখজনক হলো প্রক্রিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপে ঘুষ দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, জনগণ ক্ষমতার মালিক। মালিক নিষ্ক্রিয় থাকলে এরকম হবে। মালিকদের সক্রিয় হতে হবে।
হাওর এলাকায় মাছ, হাসসহ জলজ প্রাণী মড়ক নিয়ে বিভিন্ন মহলের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য প্রসঙ্গে কামাল হোসেন বলেন, মড়কের কারণ উদ্ঘাটন করে ভবিষ্যতে যাতে এরকম মড়ক দেখা না যায় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
প্রকৃত দুর্গত পরিবারের তালিকা করে তাদের কাছে সঠিক পরিমাণ ত্রাণ পৌছানো নিশ্চিত করা, হাওরের বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি শক্ত হাতে প্রতিরোধ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, নদী, খাল ও হাওর খনন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সুদমুক্ত ঋণ, দুর্গতদের স্বাস্থ্য সেবা, গবাদি পশু খাদ্য ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা, জলমহালের ইজারা বাতিল করে কৃষকদের মাছ ধরার সুযোগ দেয়া, ন্যায্যমূল্যে সার, বীজ, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত ও প্রয়োজনে পাঠ্য পুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করার দাবি জানান কামাল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এমইউএম/এমজেএফ