শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এই বাড়িটি থেকে অস্ত্র ও গোলা-বারুদ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজন অনুযায়ী পাঠানো হতো।
তিনি বলেন, চাপাইনবাবাগঞ্জ ও ঝিনাইদহে দু’টি জঙ্গি আস্তানায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ঝিনাইদহের জঙ্গি আস্তানায় শুধু বিস্ফোরক পাওয়া গেছে। তবে চাপাইনবাবগঞ্জের আস্তানায় অস্ত্র ও গোলা-বারুদ উদ্ধার হয়েছে। এর সঙ্গে সেখানে চার জঙ্গি লাশ উদ্ধারসহ এক শিশু ও গর্ভবতী এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।
এই দু’টি জঙ্গি আস্তানায় যেসব অস্ত্র ও গোলা-বারুদ পাওয়া গেছে এর বেশিরভাগই দেশের ভেতরে বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
বর্তমানের নব্য জেএমবি’র বড় কোনো হামলা বা নাশকতা করার পরিকল্পনা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে দেশে টার্গেটভিত্তিক কিছু নাশকতা চালানোর পরিকল্পনায় তারা সেখানে অস্ত্র ও গোলা-বারুদ মজুদ করছিলেন।
এরকম আর কতগুলো জঙ্গি আস্তানা রয়েছে, জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এ পর্যন্ত বেশকিছু আস্তানায় আমরা সফল অভিযান পরিচালনা করেছি। নব্য জেএমবি’র অনেক নেতা-কর্মীই বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছেন। এর পাশাপাশি অনেককেই জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করাও সম্ভব হয়েছে।
নব্য জেএমবি’র আরও কিছু আস্তানা থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। তবে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট এবং দেশের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে সেসব আস্তানা চিহ্নিত করা হচ্ছে। সেইসব আস্তাতেও অপারেশন করে নব্য জেএমবিকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এসজেএ/এসএনএস