সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’র ব্যানারে এবং সকাল ১০টায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে পৃথক কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে আয়োজিত আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মানববন্ধনে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আমরা শরণার্থী হিসাবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলাম, শরণার্থীদের কষ্ট আমরা বুঝি।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানায়, রোহিঙ্গাদের এ আশ্রয় যেন সাময়িক হয়। তাদের যেন শান্তিপূর্ণভাবে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়, সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক রকীব আহমদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস, শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ্ আজম প্রমুখ।
রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে সকাল ১০টার দিকে সিনেট ভবনের সামনে থেকে মৌনমিছিল বের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সিনেট ভবনের সামনে এসে মিলিত হয়। পরে সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বক্তারা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সবাইকে জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক কেবিএম মাহবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
আরআর