বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত পলাশ চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের চাচাতো ভাই সাকিব বাংলানিউজকে জানান, বাড়ি চৌগাছায় হলেও পলাশ স্থায়ীভাবে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে থাকতেন। দুপুর থেকে তাকে মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছিলো না। বিকেল ৫টার দিকে বিধান নামে ক্যাবল লাইনের সাবেক এক কর্মচারী পলাশের হত্যাকাণ্ডের কথা জানান।
‘পরে আমরা তার কর্মস্থল ক্লিনিকে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি তাকে খুন করে গায়ের জামা দিয়ে হাত দু’টি বেঁধে কমিউনিটি ক্লিনিকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ’
এ সময় পলাশের ব্যবহৃত সুজুকি জিকজাক মোটরসাইকেলটি নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হলেও ছেলের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিলো না বলেই জানিয়েছেন নিহতের বাবা শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পলাশের কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিলো না। তবে ক্যাবল লাইন নিয়ে স্থানীয় দুলালপুরের জামিনুর রহমান বুলুর সঙ্গে একটু সমস্যা ছিল। কিন্তু তা মীমাংসাও হয়ে যায়। এরই মধ্যে খুন হলো আমার ছেলে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৭
এমএ/