রাত ৯টা ৫২ মিনিট: এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে ওসমানী বিমানবন্দরে নেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হবে তাকে।
রাত ৯টা ২০ মিনিট: এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান এনকে সিনহার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন।
রাত ৯টা ১০ মিনিট: খবর পেয়ে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে এসেছেন শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ। তিনি জাফর ইকবালের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, পুলিশের প্রহরায় থাকলেও ছাত্রবেশী সন্ত্রাসী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ফাঁক গলে এ হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাত ৮টা ৫৫ মিনিট: খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে অ্যাকাডেমিক ভবন থেকে হামলাকারীকে নিয়ে গেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তবে এ বিষয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
রাত ৮টা ৩৫ মিনিট: জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় ছাত্রলীগ।
রাত ৮টা ২৫ মিনিট: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রাত ৮টা ১৫ মিনিট: সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, হামলাকারীকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোনো কথা বলছে না। তবে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
রাত ৮টা: ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে গেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও সিলেট বিভাগীয় কমিশনার নাজমানারা খানুম। ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ, ছাত্রমৈত্রীসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন বিক্ষোভ করছে। শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসেও বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
রাত ৭টা ৪৫ মিনিট: উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ড. জাফর ইকবালকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন।
অপারেশন থিয়েটারের সামনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক, ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক এন কে সিনহা অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন। তারা জানিয়েছেন স্যারের সিটিস্ক্যান করা হয়নি, রাতেও তার মাথা থেকে রক্তক্ষরণের আশঙ্কা রয়েছে।
৭টা ৩৫ মিনিট: ড. জাফর ইকবালের মাথার ক্ষতস্থানে ড্রেসিংয়ের পর সেলাই দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রাত ৭টা ২৫ মিনিট: ড. জাফর ইকবাল আহত হওয়ার খবরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে এসেছেন সিলেট রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কামরুল আহসান, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। আগে থেকেই হাসপাতালের সামনে ভিড় রয়েছে জাফর ইকবালের সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীদের।
সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিট: সিওমেকের চিকিৎসক ডা. দেবব্রত রায় বাংলানিউজকে বলেন, ড. জাফর ইকবাল স্যারকে এখন অ্যানেস্থেসিয়ায় রাখা হয়েছে। হাসপাতালের অর্থোপেডিক, মেডিসিন থেকে শুরু করে সব বিভাগের চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে তার অস্ত্রোপচার চলছে। পরবর্তী আপডেট জানানো হবে।
সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিট: হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (আইসিইউ) সামনে ড. জাফর ইকবালের ব্যক্তিগত সহকারী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘বিকেলে মুক্তমঞ্চে স্যার বসেছিলেন। তখন পেছন দিক থেকে এক যুবক ছুরিকাঘাত করে তাকে। তবে কী কারণে তাকে আঘাত করা হয়, তা এখনও জানা যায়নি। এমনকি সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কি-না, সে বিষয়েও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। ধারণা করা হচ্ছে, গত কয়েকদিন ধরে যারা র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে স্যারের মন্তব্যে নাখোশ ছিল, তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। ’
সন্ধ্যা ৬টা ২৮ মিনিট: ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অপারেশনের সময় তার এ পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন। রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।
সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও ড. জাফর ইকবালের সঙ্গে থাকা মিজান বাংলানিউজকে বলেন, ‘হাসপাতালের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে স্যারের মাথার জখমে ড্রেসিং করা হয়েছে। তখন তিনি একবার কথাও বলেছেন। ’
সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট: আহত ড. জাফর ইকবালকে সিওমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। তার অপারেশন করা হবে।
বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট: বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ফেস্টিভালের সমাপনী অনুষ্ঠান চলাকালে যুবকের ছুরিকাঘাতে আহত ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক শিক্ষার্থীকে পিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটক করে রেখেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহির উদ্দিনকে বারবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে রাখার চেষ্টা করছে ক্যাম্পাসে দায়িত্বরত পুলিশ।
জাফর ইকবাল বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৮
এমএ/এইচএ/