বুধবার (৭ মার্চ) ভোর রাতে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সোনিয়া এনায়েতপুর থানার গোপালপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী এবং একই থানার রুপনাই গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ মার্চ) দুপুরে এনায়েতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সোনিয়ার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান স্বামী জাহাঙ্গীর হোসেন। সোনিয়ার চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে এনায়েতপুর থেকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে দরিদ্র পরিবারটির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্যও ছিল না। পরে আমরা অ্যাম্বুলেন্স এনে তাকে এনায়েতপুর খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ থেকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মা নুরুন্নাহার খাতুন বাদী হয়ে জামাই জাহাঙ্গীর হোসেনকে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামি জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
আরএ