সমাবেশ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশমুখ পল্টন, শাহবাগ, মৎস্যভবন, সাইন্সল্যাবসহ বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ থাকায় এ রুটে চলাচলকারী যানবাহন বিকল্প রুট ব্যবহার করছে। এতে ওইসব রুটে বাড়তি পরিবহনের চাপ পড়ায় অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
দীর্ঘ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার পরও নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না যাত্রীরা। একদিকে নির্দিষ্ট গন্তব্যের বাসের সংখ্যা কম অপরদিকে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
বাড়তি ভাড়া আদায়ের জন্য লোকাল বাসও সিটিংয়ে চলছে বলেও বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করেছেনি অনেক যাত্রী।
বুধবার (৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায় গিয়ে এসব চিত্র দেখা যায়।
ধানমন্ডিতে ফিরতে পল্টন মোড়ে ২ ঘণ্টা ধরে বাসের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ী ফারহান। কোনো বাসে উঠতে না পেরে হতাশ তিনি।
সাভারের জিরানীবাজার থেকে আসা রেখা আক্তার সকাল ৭টায় রওনা হয়ে দুপুর ৩টায় গুলিস্তানে পৌঁছেছেন বলে জানান। এরপর অফিসে গিয়ে তার কাজ না করতে পেরে হতাশ হয়ে বাসায় ফিরতে অপেক্ষারত ছিলেন পল্টন মোড়ে। বিকেলে ৫টা অবধি দাঁড়িয়ে থেকেও তিনি কোনো বাস পাননি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে রেখা আক্তার জানান, কীভাবে বাসায় ফিরবো জানা নেই। একই কাজে তাকে আবার আগামীকাল গুলিস্তানের বাস ধরতে হবে বলেও দীর্ঘশ্বাস ছাড়ের তিনি।
শফিকুল ইসলাম নামে মিরপুরগামী এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, আওয়ামী লীগের সমাবেশ উপলক্ষে কিছু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় বাসায় ফিরতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। রাস্তা বন্ধ না করে যদি সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা যেতো তাহলে সবার জন্যই ভালো হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
এএম/এমজেএফ