রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তুরজান উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের কাপাসিয়া ডাউরিয়া গ্রামের আবদুল কাদের স্ত্রী। তুরজানের বাবা আলাউদ্দীন পাশের বাসুদেবপুর গ্রামের অধিবাসী।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে না এটি হত্যা না আত্মহত্যা। তাই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার স্বামী কাদের ও শাশুড়ি মেরিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিন বছর আগে কাপাসিয়া ডাউরিয়া গ্রামের নাইমুল ইসলামের ছেলে কাদেরের সঙ্গে আমবাড়িয়া বাসুদেবপুর গ্রামের আলাউদ্দীনের মেয়ে তুরজানের বিয়ে হয়। এটি মেয়েটির দ্বিতীয় বিয়ে। এ নিয়ে বিয়ের পর থেকে তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ যৌতুকসহ নানা কারণে অত্যাচার করতো।
তবে তার স্বামীর দাবি পারিবারিক কলহের জের ধরে অভিমানে তুরজান নিজঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আর তুরজানের বাবার দাবি তার মেয়েকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাই ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮
এসএস/এএ